শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড
Published: 26th, February 2025 GMT
শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত এবং পাঠদানকে আনন্দময় ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রাথমিক স্তর থেকেই মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক পাঠদান নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্বায়নের যুগে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়ও প্রযুক্তিভিত্তিক উপকরণ ব্যবহার শুরু হয়েছে। শিক্ষা খাতে ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এলজি গ্লোবাল। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেশের শিক্ষা খাতে কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব, তা তুলে ধরেন এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের হেড অব ইনফরমেশন ডিসপ্লে সলিউশন মোহাম্মদ রবিউল আওয়াল। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের শিক্ষা খাতে প্রায় দুই হাজার ইউনিট ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ করছে এলজি। নানা রকম সুবিধা–সংবলিত এসব ডিজিটাল বোর্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচলিত বোর্ডের তুলনায় আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব।
আরও পড়ুনসুইডেনের ফুল-ফান্ডেড ৭৫০ স্কলারশিপ, জীবনযাপন খরচ, ভ্রমণ ব্যয়ের সঙ্গে নানা সুযোগ১০ ঘণ্টা আগেশিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরাল্ড সাংহো চুন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।
অতিথিরা বলেন, ডিভিটাল ডিসপ্লের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা এনে দেবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টায় অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুনচীনের এআইআইবি গ্লোবাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, দিনে ৯০ ডলারের সঙ্গে নানা সুযোগ২ ঘণ্টা আগেআরও উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের হেড অব মিডিয়া সলিউশন আশিকুল ইসলাম, এলজি ইলেকট্রনিকস সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সেলস ডিরেক্টর টনি অ্যাং এবং প্রোডাক্ট ডিরেক্টর জ্যাকি জিয়ং। তাঁরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ন এলজ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’