রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যৌথবাহিনীর তল্লাশি
Published: 1st, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মধ্যরাতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে সেনাবাহিনী। রাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায় যৌথবাহিনীর এই কার্যক্রম। এসময় বৈধ কাগজপত্র, লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকা ও অনিয়মের দায়ে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ।
কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অনেকেরই মাথায় নেই হেলমেট, আবার কারও হেলমেট থাকলেও নেই লাইসেন্স কিংবা গাড়ির ফিটনেস। তবুও মামলা থেকে বাঁচতে দিচ্ছেন নানা অজুহাত।
শুক্রবার রাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলামোটর এলাকায় এ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একটি দল। এসময়, অনিয়মের দায়ে মামলা দেয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে।
একই সময়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকাতেও চেকপোস্টে বসায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। অনিয়মের দায়ে সেখানেও মামলা হয় কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, নিয়মিত এমন তল্লাশি ও টহল কার্যক্রমের ফলে কমবে অপরাধ প্রবণতা।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
আড়াইহাজারে চার দফা দাবিতে স্থানীয় পাওয়ারলুম শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে। প্রথমে স্থানীয় রামচন্দ্রী এলাকা থেকে গোপালদী বাজার পর্যন্ত রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও ইট সহ বিভিন্ন ভারী বস্তুু ফেলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজ্জাত হোসেন ও আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত সাইফ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা রামচন্দ্রী স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিলে পরে বিশনন্দী ফেরিঘাট সড়কেও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়কে বসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় শত শত যানবহন সড়কে আটকা পড়ে। স্থানীয় বিভিন্ন টেক্সাইল মিলের প্রায় ২ হাজারের মতো শ্রমিক অবরোধে অংশ নেয়। এসময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এক পার্যায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে শ্রমিকরা চলে যায়। স্থানীয় ‘আবুল খায়ের টেক্সাইল’ মিলের শ্রমিক কবির হোসেন বলেন, আমরা টেক্সাইল মিলের মালিকদের কাছে চারটি দাবী করেছি; দাবীর মধ্যে রয়েছে, গজ প্রতি গ্রেরে কাপড়ে এক টাকা, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে মালিক পক্ষ আর্থিক সহযোগিতা ও দুই ঈদে বোনাস ভাতা চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, এই দাবীগুলো আমাদের দীর্ঘদিনের। এটি মালিকদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব। শ্রমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের কর্মস্থলে কোন নিরাপত্তা নেই। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কর্মরত অবস্থায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের নিজেদের অর্থে চিকিৎসা করতে হয়। অনেক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় কষ্ট করে।
শ্রমিক নাহিদ বলেন, দুই ঈদে আমাদের বোনাসের দাবী করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের বোনাস দিয়ে থাকে; আমরা কেন তা পাবোনা।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সাইফদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিকদের পক্ষ থেকে চারটি দাবি করা হয়েছে। মালিকদের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবিগুলো ধাপে ধাপে পূরণ করার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।’