গুগল ফোন অ্যাপে স্প্যাম কল শনাক্তে নতুন সুবিধা
Published: 2nd, March 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কল ব্যবস্থাপনায় নতুন একটি সুবিধা চালু করেছে গুগল। ফোন অ্যাপের এই আপডেটের ফলে স্প্যাম ও অপ্রয়োজনীয় কল শনাক্ত করা আরও সহজ হবে। নতুন এই সুবিধার আওতায় কলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হবে। ফলে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় কল সহজেই আলাদা করতে পারবেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছে, গুগল ফোন অ্যাপের নতুন হালনাগাদে কলের তালিকা পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন অল কল, মিসড কল, কন্ট্যাক্টস, স্প্যাম ও নন-স্প্যাম। এত দিন পর্যন্ত সব কল একই তালিকায় দেখানো হতো। ফলে প্রয়োজনীয় নম্বর খুঁজে পেতে সময় লাগত। নতুন সুবিধার ফলে নির্দিষ্ট শ্রেণির কল সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে আপাতত ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল আলাদা করে দেখার সুবিধা নেই।
প্রথমবারের মতো এই সুবিধা ফোন অ্যাপের ১৫৯.
গুগল সম্প্রতি কল ব্যবস্থাপনায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে একাধিক নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে। এর মধ্যে কল স্ক্রিন ফিচার অন্যতম। এই সুবিধা কল রিসিভ করার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলারের পরিচয় ও কল করার কারণ শনাক্ত করতে পারে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এই তথ্য দেখে কল গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ ছাড়া রিভার্স লুকআপ টুলের মাধ্যমে অজানা নম্বর শনাক্ত করার সুবিধা রয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল এই প্রথম ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে, যা দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
রবিবার (১৫ জুন) পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পিজিবি দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাত ১২টা থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে।
আরো পড়ুন:
গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের ভারত সফরের সময় এই বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে সময় তিন দেশ আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংযোগ জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে, এই বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ইউনিট ০ দশমিক ০৬৪ ডলার বা ৬ দশমিক ৪ সেন্ট।
এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল–নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি (এনইএ), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম (এনটিপিসি)।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এর অর্থ হলো, বছরের একটি নির্দিষ্ট শুষ্ক মৌসুমে নেপালের এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ