আমি ১৮টি ট্যাবলেট খেয়েছিলাম: সংগীতশিল্পী কল্পনা
Published: 6th, March 2025 GMT
গত ২ মার্চ অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা কল্পনা রাঘবেন্দ্ররকে। পুলিশ দাবি করেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এই গায়িকা।
সংগীতশিল্পী কল্পনা এখন অনেকটা ভালো আছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। কিন্তু পুলিশের দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কারণ চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ বেশি মাত্রায় খাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে কল্পনা বলেন, “আমি ৮টি ট্যাবলেট (ঘুমের ট্যাবলেট) খাওয়ার পরও ঘুম আসছিল না। এরপর আরো ১০টি ট্যাবলেট খাই। যার ফলে অচেতন হয়ে পড়ি। এরপর কী ঘটেছিল আমি কিছুই জানি না।”
আরো পড়ুন:
১৪ কেজি সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার: মুখ খুললেন পুলিশ অফিসার বাবা
১৬ কোটি টাকার সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার
৪৪ বছরের কল্পনার দাবি, যে ১৮টি ট্যাবলেট খেয়েছিলেন, তা তার চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে লিখেছেন। কিন্তু যে মাত্রায় সেবন করার কথা, তারচেয়ে বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।
কল্পনার কন্যাও ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেছেন। মায়ের আত্মহত্যা চেষ্টার খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, “দয়া করে কোনো তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করবেন না। আমাদের পরিবার পরিপূর্ণভাবে ভালো আছে। আমার বাবা-মা ব্যক্তিগত জীবনে সুখী। আমি ভালো আছি। আমার মা খুব ভালো আছেন। দুই-এক দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন।”
কল্পনা টানা দুই দিন অ্যাপার্টমেন্টের দরজা না খোলার ব্যাপারটি লক্ষ্য করেন সিকিউরিটি গার্ড। এরপর খবরটি কল্পনার প্রতিবেশিদের জানান। দ্রুত তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে কল্পনাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। ঘটনার সময়ে কল্পনার স্বামী চেন্নাইয়ে ছিলেন, খবর পেয়ে তিনিও হায়দরাবাদে ফিরেন।
বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক টিএস রাঘবেন্দ্রর মেয়ে কল্পনা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১০ সালে স্টার সিঙ্গার মালায়ালামে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এই বিজয়ের পর ইলাইয়ারাজা এবং এআর রহমানসহ অনেক বিখ্যাত সুরকারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান কল্পনা।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ভাষার ১ হাজার ৫০০ টির বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কল্পনা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।