২০১৮ সালে ‘মি টু’ আন্দোলনে সরব হন বলিউড তনুশ্রী দত্ত। অভিযোগের তীর ছোঁড়েন বি-টাউনের গুণী অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে। ভারতীয় আদালতে দায়ের করেন মামলা। এবার সেই মামলা খারিজ করে দিলেন আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে নানা ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ ছিল তনুশ্রীর।

শুক্রবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরি) এনভি বনশল জানান, অভিযোগের সময়সীমা অতিক্রান্ত। তনুশ্রীর অভিযোগ তাই খারিজ।

বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, আইনের চোখে একটি ঘটনার ১০ বছর পর অভিযোগ দায়েরের সারবত্তা নেই। তনুশ্রী ২০০৮-য় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৮-য় ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪ এবং ৫০৯-এ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি কর্মপদ্ধতি (সিআরপিসি)-র নিয়ম অনুসারে তিন বছরের সময়সীমা রয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেটের মতে, সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নেপথ্য কারণ, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি। তার পরেও সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বিলম্বের নির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি। এই মামলা চালানো বা ধরে রাখা তাই নিরর্থক।

২৩ মার্চ, ২০০৮ তারিখে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার জন্য ২০১৮ সালে এফআইআর দায়ের করেন তনুশ্রী। সেসময় বিষয়টি নিয়ে প্রায় রোজই সংবাদের শিরোনাম হতেন তনু। অভিযুক্তের খাতায় নানার নাম দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে: হাইকোর্ট
  • নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 
  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন
  • আগের ভোটের সবাই বাদ, ‘যোগ্য’ নতুন ডিসি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার