চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পিটুনি দেন এলাকার লোকজন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পরে গতকাল রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের (৩২) বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরকুডুলিয়া গ্রামে। পেশায় তিনি ফেরিওয়ালা। ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ডিম ফেরি করে বিক্রি করেন তিনি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি জিল্লুরকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেরা খানমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার এজাহার ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিল্লুর রহমান দামুড়হুদা উপজেলায় ভ্যানে করে ডিম বিক্রি করেন। গতকাল বিকেলে তিনি ডিম বিক্রি করতে যান। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি ডিম কিনতে বাড়ির অদূর ইটের পালার কাছে যায়। সেখানে আর কেউ ছিল না। এই সুযোগে জিল্লুর রহমান একাধিকবার শিশুটিকে জাপটে ধরেন এবং তার গায়ে হাত দেন। শিশুটি ডিম না কিনে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে এবং ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়।

এরপর পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন জিল্লুর রহমানকে আটক করে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জিল্লুর রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

শিশুটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগেও দুটি শিশুকে যৌন হয়রানি করেছিলেন জিল্লুর। লোকলজ্জার ভয়ে তখন ভুক্তভোগীরা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো মেয়ে এমন নিপীড়নের শিকার না হয়, সে জন্য তাঁকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন স পর দ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ