জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, টেকসই গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এনসিপির চাওয়া গণপরিষদের সংবিধান সংস্কার। সংস্কার কমিশনগুলো বৈঠকে সংস্কারের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার প্রয়োজনীয়। জাতিসংঘ এতে পাশে থাকবে। 

সংস্কার কীভাবে, কতটুকু হবে, তা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে করতে হবে।’ পর্তুগালের উদাহরণ দিয়ে তিনি আশাবাদ জানিয়েছেন, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো মিলে এই পথ পাড়ি দিতে পারবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়ের আয়োজনে বৈশ্বিক সংস্থাটির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সাতটি দল অংশ নেয়। রাজনৈতিক নেতারাও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে নিজ নিজ দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

বৈঠকে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ; জামায়াতের নায়েবে আমির ডা.

সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার; নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান আসাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। 

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও ছিলেন। বৈঠকে সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা এবং চলমান কার্যক্রম জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠকে তুলে ধরা হয়। ছিলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন কমিশন সমন্বয়কারী তথা সরকারপ্রধানের বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও ছিলেন বৈঠকে।

মনির হায়দার সমকালকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা জরুরি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করতে হবে। নির্বাহী এবং বিচার বিভাগের সত্যিকারের পৃথক্করণ জরুরি।’ 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটে। এই স্বৈরশাসক ভারতে পালিয়ে গেছেন। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া পর গণঅভ্যুত্থানে চালানো হত্যাযজ্ঞ জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান জানায় ইউনূস সরকার। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান অনুযায়ী, অভ্যুত্থান দমনে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সহযোগীর ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো। শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল হোতা।

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে। ছয়টি কমিশনের দেওয়া সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শুরু করেছে। অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব দল সংস্কারকে সমর্থন করলেও পদ্ধতি এবং সময়সীমা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। 
 
দ্রুত নির্বাচন চাইল বিএনপি 
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্যোগে গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করা হয়েছিল। এতে কমিশনপ্রধানরা ছিলেন। সংস্কারের যেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে, তা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানানো হয়েছে।’

বিএনপি কী বলেছে– প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা এতদিন যে কথা বলে আসছি, তাই বলেছি। সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। সংস্কারের কথা বিএনপিই আগে বলেছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব বিষয় আছে, সেসব সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন করা এবং সংসদের মাধ্যমে বাকি বিষয়গুলো করতে হবে। আর সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। সেই বিষয়গুলো বলে এসেছি।’

জাতিসংঘের মহাসচিব কিছু বলেছেন কিনা– প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।’ 

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কথা হয়েছে কিনা– প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তারা যা চাচ্ছে, সব তাদের দিয়েছি। এরই মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবকে কেন সময়সীমা দিতে যাব?’

বৈঠকে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রধানরা নিজ নিজ কমিশনের সংস্কারের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতিসংঘ বলেছে, সংস্কার ও নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কী সংস্কার হবে, তা বাংলাদেশই ঠিক করবে। জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশা করছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পৃথিবীর মধ্যে নজির সৃষ্টি করবে।

সুষ্ঠু নির্বাচন, টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য চায় জামায়াত
ডা. তাহের বলেন, জামায়াত সংস্কারের কথা বলেছে জাতিসংঘ মহাসচিবকে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বলেছি। টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে কথা বলেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব জামায়াতের অধিকাংশ বক্তব্য সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন। গুতেরেস সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ জানিয়েছেন।

গণপরিষদে সংবিধান সংস্কার চায় এনসিপি
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কার অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার। অন্তর্বর্তী সরকারেরও এ বিষয়ে জনগণের আছে অঙ্গীকার রয়েছে। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়ে তৈরি করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে, যা হবে জুলাই সনদ। এতে সবাইকে সই করতে হবে।
নাহিদ বলেন, ‘এনসিপির অবস্থান হলো, গণপরিষদের মাধ্যমেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে। সংসদের মাধ্যমে হলে সংস্কার টেকসই হবে না। দলীয় অবস্থান থেকে আমাদের কথা বলেছি। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নিজেরাই সমঝোতায়, ঐকমত্যে আসে। গণতন্ত্রের যে মূল ধারণা, তা মাথায় রেখে যাতে একসঙ্গে কাজ করি। তিনি এ প্রত্যাশা করেছেন।’

নির্বাচন সম্পর্কে নাহিদ বলেন, ‘সংস্কারবিহীন নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এতে একমত। মতপার্থক্যগুলো হচ্ছে, কোন সংস্কার কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে। জুলাই সনদের মাধ্যমে সংস্কার হলে মতপার্থক্য দূর হবে, ঐকমত্যে আসতে পারব।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিতে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে গণসংহতির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।’

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়নে সংস্থাটির সাহায্য প্রয়োজন। এখনও জাতিসংঘের তিনটি প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনার আত্মীয়রা কাজ করছেন। এগুলো জানানো হয়েছে মহাসচিবকে।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস, ইউএনএইচসিআরের আবাসিক প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন, ডব্লিউএফপির আবাসিক প্রতিনিধি ডমিনিকো স্কেলপেনি, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ডব্লিউএইচওর আবাসিক প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, ইউএনওপিএসের আবাসিক প্রতিনিধি সুধীর মুরালিধরন, আইওএমের মিশন প্রধান ল্যানস বনেউ প্রমুখ বৈঠকে ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন ত ল গণতন ত র সরক র র ঐকমত য দ বল ন বল ছ ন ইসল ম ফখর ল এনস প ব এনপ ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা

আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই জুলাই সনদকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২১তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

আলী রীয়াজ বলেছেন, আজসহ হাতে আছে মাত্র তিন দিন। এ সময়ের মধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আমরা জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করতে চাই।

আজ আলোচনার সূচিতে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের প্রস্তাব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধান।

আলী রীয়াজ বলেছেন, ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত তাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করা হবে।

তিনি বলেছেন, যেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো একত্র করে এবং দলগুলোর মন্তব্য যুক্ত করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই আমরা একটি গ্রহণযোগ্য সনদের কাঠামো উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নতুন প্রস্তাব আসছে
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়ে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে নতুন নতুন প্রস্তাব এসেছে। গতকাল থেকে এ ইস্যুতে আলোচনা জোরালো হয়েছে। কয়েকটি দলের নতুন মতামত ও সুপারিশ এসেছে। সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিত প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা চাই, প্রত্যেকটি দলের অবস্থান বিবেচনায় রেখে একটি ভারসাম্যপূর্ণ রূপরেখা হাজির করতে। কারণ, বাস্তবতা হলো— সব দলেরই নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। সেগুলো সমন্বয় করেই আগাতে হবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. আইয়ুব মিয়া।

আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লুলার প্রতিবাদে অন্যরাও শামিল হোক
  • এমন কিছু করবেন না যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়: মির্জা ফখরুল
  • ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না করলে এনসিবি তা করবে: আখতার হোসেন
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
  • খসড়া নিয়ে ৩ দলের আপত্তি
  • বিতর্কমুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব‍্যবস্থা না হলে গণতন্ত্র আবার হুমকিতে পড়বে: এবি পার্টি
  • প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে
  • মানুষ ঠিকমতো ইভিএম বোঝে না, পিআর বুঝবে কী করে: মির্জা ফখরুল
  • ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা
  • স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় নাগরিকেরা কোথায়