নাটোরে গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে আদালতে প্রেরণ
Published: 17th, March 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে নাটোরের সিংড়া পৌর যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিংড়া থানার ওসি মো. আসমাউল হক এতথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রীর নাম মোছা. শাহিদা বেগম। তিনি পৌর যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। পৌর শহরের সরকারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা তিনি।
আরো পড়ুন:
কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণ চেষ্টার’ অভিযোগ
তাজকীর হত্যার রহস্য উন্মোচন করল পুলিশ
সিংড়া থানার ওসি মো.
এলাকাবাসী জানান, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির পদযাত্রায় প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় উপজেলার কৈগ্রাম এলাকায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি মারধর ও হুমকির মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে নাম না জানা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//