ন্যাশনাল এআই আর্ট-এ-থন প্রতিযোগিতা: মোট পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
Published: 18th, March 2025 GMT
ন্যাশনাল এআই আর্ট-এ-থন প্রতিযোগিতায় আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এটি এআই ডিজাইন প্রতিযোগিতা। এ পুরস্কারের মোট অর্থমূল্য ছয় লাখ টাকা। প্রতিযোগিতায় পেশাদার ও শিক্ষার্থীরা (একক বা দুই সদস্যের দল) অংশ নিতে পারবেন। শিল্প ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে অংশ নিতে চাইলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নারী অংশগ্রহণকারীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হার্ভার্ডে টিউশন ফি ছাড়াই পড়াশোনা, কারা পাবেন এ সুযোগইউনেসকোতে ১৪ ক্যাটাগরিতে ইন্টার্নশিপ, বয়স ২০ হলেই আবেদনজাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্রমবর্ধমানভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা কীভাবে কাজ করি, নতুন নতুন ডিজাইন করি এবং যোগাযোগ করি, এ সবই এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা যাচ্ছে। ন্যাশনাল এআই আর্ট-এ-থন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা এআই-জেনারেটেড আর্টওয়ার্ক তৈরি করবেন, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি প্রদর্শন করবে। জাতীয় এআই আর্ট-এ-থন এআই-চালিত শিল্প/আর্ট প্রতিযোগিতা। এই অনন্য প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশি শিল্প চর্চাকারী, শিল্প পেশাদার, ছাত্র (আঠার বছর+) (শিল্পী, নির্মাতা, স্থপতি, গ্রাফিক ডিজাইনার ও অন্যান্য ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট), প্রযুক্তিবিদ এবং এআই উত্সাহীদের একটি গতিশীল ও সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় একত্রিত করবে। মাইক্রোসফট, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো (কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ, জন এইচ ড্যানিয়েলস ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ এবং ডিজাইন, ইনফরমেশন ফ্যাকাল্টি), ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, বাকবন লিমিটেড এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এ আয়োজন করছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ডলার আয়ের পরিবারের জন্য টিউশন ফি ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগকারা আবেদনের সুযোগ পাবেন—গ্রুপ এ: পেশাদার (ব্যক্তি বা দল সর্বোচ্চ ৩ জন সদস্য পর্যন্ত)
গ্রুপ বি: ছাত্র (ব্যক্তি বা দল সর্বোচ্চ ৩ জন সদস্য পর্যন্ত)
দ্রষ্টব্য: নারী অংশগ্রহণকারীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
২৫ মার্চ ২০২৫
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি বছর বিশ্বে মন্দার ঝুঁকি বেড়েছে, জরিপে অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা
চলতি বছরে মন্দার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে জরিপে দেখা গেছে। ৫০টি দেশের অর্থনীতিবিদ এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির কারণে ব্যবসায়িক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।
চলতি বছরে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ১৬৭ জন বিশ্লেষকের মধ্যে ১০১ জন ‘উচ্চ’ বা ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকির কথা বলেছেন। ৬৬ জন বলেছেন ঝুঁকি ‘কম’, যার মধ্যে চারজন বলেছেন ‘অত্যন্ত কম’।
জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ অর্থনীতি বিশ্লেষক বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে (যদিও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে) ব্যবসায়িক আস্থা নষ্ট হয়েছে; সৃষ্টি করেছে অস্থিরতা। ফলে চলতি বছর মন্দার ঝুঁকি অনেকটা বেড়েছে। মাত্র তিন মাস আগেও এই অর্থনীতিবিদদের অধিকাংশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। শুধু তা–ই নয়, তাঁরা বলেছিলেন, প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা থাকবে।
কিন্তু ট্রাম্পের বিশ্ববাণিজ্য ‘নতুনভাবে গঠনের’ উদ্যোগ, বিশেষ করে সব আমদানির ওপর শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত, অর্থনীতিতে তীব্র অভিঘাত সৃষ্টি করেছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ। ডলারসহ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদগুলোয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা নড়বড়ে হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩০০ জনের বেশি অর্থনীতিবিদের মধ্যে কেউই বলেননি, ট্রাম্পের শুল্কনীতির ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ৯২ শতাংশ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মনোবলে এই শুল্কনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মাত্র ৮ শতাংশ নিরপেক্ষ মত দিয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই ভারত ও অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির প্রতিনিধি।
জরিপে ২০২৫ সালের জন্য বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে আনা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের জরিপে এই অর্থনীতিবিদেরাই বলেছিলেন, প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ শতাংশ। এবার তা ২ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অবশ্য একটু বেশি—তারা ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮টি অর্থনীতির মধ্যে ২৮টি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে আনা হয়েছে।
২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও আশাব্যঞ্জক নয়। অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দার আবহ তৈরি হয়েছে, তা সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৬৭ অর্থনীতিবিদের মধ্যে ১০১ জন (৬০ শতাংশ) অবশ্য বলেছেন, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি বেশি বা খুব বেশি। মাত্র ৬৬ জন এটিকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন।
চীন ও রাশিয়ার অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন, চীনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ; রাশিয়ার হতে পারে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে মেক্সিকো ও কানাডার প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে দশমিক ২ ও ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে, গত কয়েক মাসের মধ্যে যা সবচেয়ে বড় অবনতি।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্টেট স্ট্রিটের ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার প্রধান কৌশলবিদ টিমোথি গ্রাফ বলেন, এই পরিবেশে প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী হওয়া কঠিন। আজকের মধ্যে সব শুল্ক তুলে নেওয়া হলেও ট্রাম্পের নীতির কারণে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বিশ্বাসযোগ্যতার যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছিল, নীতি সুদহার বৃদ্ধির মাধ্যমে তা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এখন উচ্চ শুল্কের কারণে নতুন করে মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া ও বেকারত্ব বাড়লে স্ট্যাগফ্লেশন (উচ্চ মূল্যস্ফীতি+বেকারত্ব নিম্ন প্রবৃদ্ধি) সৃষ্টি হতে পারে। সেই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে বলেই মনে করেন গ্রাফ।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ২৯টি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে ১৯টি ব্যাংক চলতি বছর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগামী বছরের জন্য এ সংখ্যা কিছুটা কমে ১৫-তে নামবে বলে পূর্বাভাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বাণিজ্যনীতির অভিঘাত কেবল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে নয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ফলে ভবিষ্যতেও চাপ অব্যাহত থাকবে। এখন দেখার বিষয়, বিশ্বনেতারা কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন, অর্থাৎ কীভাবে স্থিতিশীল বাণিজ্যনীতি প্রণয়ন করতে পারেন।