‘এমন সিয়ামকে আগে দেখিনি, গল্পটি পরিবার নিয়ে দেখার মত’
Published: 18th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদে মুক্তি পাচ্ছে এম রাহিম পরিচালিত ছবি ‘জংলি’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটিতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। ছবিটিগত ঈদের সিনেমা হিসেবে সবার আগে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে এবং প্রদর্শিত হয়। সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সবাই জানিয়েছেন জংলি দেশীয় গল্পে দারুণ নির্মাণ দেখিয়েছেন এম রাহিম।
জংলি দেখার পর সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াতের ভাষ্য, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে প্রথম দেখেছি এম রহিম পরিচালিত ও সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’। এরপর দেখি দাগি। জংলির গল্পের লাইনআপটা দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সিনেমায় ভিন্ন এক সিয়ামকে আমরা দেখলাম। এমন সিয়ামকে আমরা আগে দেখিনি। আরও যারা অভিনয় করেছেন তারাও ভালো করেছেন। গল্পটি পরিবার নিয়ে দেখার মত ছবি।’
সিনেমার গল্পের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতা এম রাহিমেরও দারুণ প্রশংসা করলেন তিনি। কাজী হায়াত বললেন, ‘নতুন পরিচালক হিসেবে এম রহিম যেটা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি সব অভিনয়শিল্পীদের থেকে অভিনয়টা আদায় করে নিয়েছেন। ফলে ঈদে দারুণ একটা সিনেমা তিনি নিয়ে আসতে পারছেন।’
জংলি দেখার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হয় আরেক সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্য অভিনেত্রী কাজী নওশাবার সঙ্গে তিনি বলেন, জংলি তো পুরোপুরি আমাদের দেশি গল্প। ভায়োলেন্সের চেয়ে এই ছবির বড় দিক হচ্ছে বাচ্চা একটা মেয়েকে নিয়ে দারুণ গল্প বুনেছেন নির্মাতা। সিয়াম ডেফিনেটলি ভালো অভিনয় করেছেন, তার চরিত্রটাও দারুণ। চরিত্রটির দারুণ পরিশ্রম করেছে সে। পাশাপাশি বাচ্চা মেয়েটার অভিনয় ও তাকে সাবজেক্ট করে গল্পটা এভাবে এগিয়ে নেওয়াটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। এক কথায় বলতে গেলে জংলি একটি আমাদের পাশেই ঘটে যাওয়া গল্পের ছবি। পরিবার নিয়ে এই ছবি সবার দেখা উচিত।
এদিকে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের উপ-পরিচালক মঈনউদ্দিন জানিয়েছেন, জংলি সিনেমা প্রথম সেন্সরে আসে। এরপর আসে দাগি। দুটোই আমাদের বোর্ডের সদস্যরা দেখেছেন। এরমধ্যে একটি ছবি ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকটি দু-একদিনের মধ্যে দেওয়া হবে। শিগগিরই ছবি দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সিয়াম ডেফিনেটলি ভালো অভিনয় করেছেন, তার চরিত্রটাও দারুণ। চরিত্রটির দারুণ পরিশ্রম করেছে সে। পাশাপাশি বাচ্চা মেয়েটার অভিনয় ও তাকে সাবজেক্ট করে গল্পটা এভাবে এগিয়ে নেওয়াটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ পর চ ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।