সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রোববার মত জানাবে বিএনপি
Published: 20th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নিজেদের মতামত দেবে বিএনপি। গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মতামত জমা দেওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু ও বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সবাই ধরেই নিয়েছে ডিসেম্বর নির্বাচন হচ্ছে। এর পরে যাওয়ার সুযোগ নাই। নির্বাচনের জন্য অনেকের মতে ডিসেম্বর অনেক দেরি হয়ে গেলেও কাট অফ টাইম হিসেবে ধরে নিয়েছে ডিসেম্বর। সবার ধারণা, ডিসেম্বর মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অবস্থা, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেসব সংস্কার প্রসঙ্গে ঐকমত্য হবে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে। আর যেসব সংস্কার প্রসঙ্গে ঐকমত্য হবে না সেগুলো জনগণের মতামত নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদে আলোচনা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ড স ম বর ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।
নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।
জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।