সুসময়ে যাঁরা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) এসেছেন, তাঁদের সাবধান করে দিয়ে দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, চাঁদাবাজের অভয়াশ্রম এনসিপি হবে না।

ময়মনসিংহে আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। নগরের টাউন হলের মাঠে বৃষ্টির মধ্যে আয়োজিত সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক বিষয়, আমাদের নাম–পরিচয় ব্যবহার করে, এনসিপির ব্যানার ব্যবহার করে অনেকে চাঁদাবাজিতে যুক্ত হচ্ছেন। আমাদের নেতা–কর্মী যাঁরা আছেন, আমরা মুখে মুখে বলব, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, কিন্তু আপনি গিয়ে করবেন চাঁদাবাজি—এই জিনিসগুলো কিন্তু আমরা বরদাশত করব না। আমাদের লাখ লাখ কর্মীর দরকার নেই। আমাদের লাখ লাখ নেতার দরকার নেই। এই চাঁদাবাজের অভয়াশ্রম এনসিপি হবে না।’

নিজের ঘরে আগে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আরেক ধরনের নেতা–কর্মী রয়েছে, যারা হচ্ছে তেলবাজ ও সেলফিবাজ। এদের কোনো প্রোগ্রামে ডাকলে পাওয়া যায় না। ওদেরকে কোনো কাজে ডাকলে পাওয়া যায় না। নেতার পেছনে পেছনে ঘোরে। একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে সেলফি–বাণিজ্য করে। প্রশাসনে প্রশাসনে ছবি–বাণিজ্য করে। এদের প্রতিহত করবেন। আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। নিজের ঘরে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। আমার দরকার নেই এসব সেলফিবাজ, এসব তেলবাজ।’

সভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলছে। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, জুলাই সনদ হবে। আমরাও বলেছি, জুলাই সনদ হতেই হবে এবং সেটা ৫ আগস্টের মধ্যে। জুলাই সনদে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐকমত্য চাই। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনসহ দুদক এবং পিএসসির নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিটি তৈরি করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ, নিরপেক্ষ আদালত। এই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো আমাদের প্রয়োজন। ইনশা আল্লাহ আমরা ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করতে পারব।’

ময়মনসিংহে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে সভায় বক্তব্য দেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বিকেলে নগরের টাউন হল মাঠে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ আম দ র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির ওয়াক আউট, পরে যোগদান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে চার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউট করে বিএনপি। আজ সোমবার দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার শুরুতেই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বৈঠক থেকে বের হয়ে যান। দলটি আগেই বলেছিল এ বিষয়ে আলোচনায় তারা অংশ নেবে না। তবে কিছু সময় পর বিএনপির প্রতিনিধি দল আবার আলোচনায় যোগ দেয়।

প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপি অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল।

আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০ তম দিনের শুরুতে আলোচনার জন্য শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ১১ টার পরে বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, তারা আলোচনায় অংশ নেবে না। এ সময় বিএনপির প্রতিনিধি দল ওয়াক আউট করে।

বিএনপি আলোচনা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একটি দল আলোচনা করছে না তাহলে এই বিষয়ে ঐক্যমত্ত কিভাবে হবে, আলোচনা চালানো হবে কিনা তিনি সেই প্রশ্ন রাখেন।

জবাবে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপি আগেই বলেছিল এই চারটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনায় বিএনপি থাকবে না। তারা এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে যুক্ত করার বিরুদ্ধে।

আলী রীয়াজ বলেন, একটা দলের কারণে আলোচ্য সূচি বাদ দিতে পারে না কমিশন। তবে একটা বড় দল না থাকলে আলোচনা কার্যকর হবে না সবাই এটি মনে করলে কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করবে।

অবশ্য কিছু সময় পর বিএনপি আবার আলোচনায় যোগ দেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ
  • ‘বাদ দেওয়ার চেষ্টা হলেও ঘোষণাপত্রে নিশ্চিত হবে জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি’
  • দুদক ও পিএসসির বিষয়ে বিএনপিকে অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান এনসিপির
  • রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পৌঁছে দেওয়া হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠায় হুড়োহুড়ি করে বের হলেন সবাই
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির ওয়াক আউট, পরে যোগদান
  • জুলাই সনদ হওয়ার পর নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা: নাহিদ
  • জুলাই সনদের খসড়া আগামীকালের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হবে: আলী রীয়াজ
  • ‘জাতীয় সনদ’কে সর্বোচ্চ আইন হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ