সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কো-চেয়ারম্যান আলী রীয়াজের কাছে জামায়াতে ইসলামীর মতামত জমা দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ। 

প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরে মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। আজ আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি। আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমিরে জামায়াতসহ নেতারা প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। এতে সহসভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই প্রকাশিত

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই ‘অ্যা ফ্র্যাকচারড পাথ: চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকাশিত হয়েছে। এ মাসেই দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) বইটি প্রকাশ করেছে।

ইউপিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বইটির বিষয়বস্তুও উল্লেখ করা হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, দেশে গণতন্ত্র আর জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি নৈরাজ্য গ্রাস করবে? পৃথিবীর আরও যেসব রাষ্ট্র  নানা সময়ে এমন সংকটের মুখে পড়েছে, তারা কীভাবে উত্তরণ করেছে? কোন কোন রাষ্ট্র উত্তরণে আদৌ সক্ষম হয়নি? বইটিতে লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত অর্ধশতকে যে দেশগুলো এই রূপান্তরে সফল বা ব্যর্থ হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা লেখক এই বইটিতে বিশ্লেষণ করেছেন।

অন্যদিকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালনের সুবাদে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বাংলাদেশের রাজনীতির সংকটময় মুহূর্তে অন্যতম কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থেকে বাংলাদেশের বিশেষ বাস্তবতাকেও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

এই বইটিতে লেখক একদিকে  বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছেন। আরেক দিকে বাংলাদেশের বিশেষ বাস্তবতার উপলব্ধি তুলে ধরেছেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক, আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস)-এর প্রেসিডেন্ট। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার ‘গোপন সমঝোতা’ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হতে পারে: গোলাম পরওয়ার
  • সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত, আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
  • তড়িঘড়ি না করে সংবিধান সংস্কারে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
  • কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
  • ঐকমত্য কমিশন হাজির করেছে অনৈক্যের দলিল: বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন
  • জুলাই সনদ নিয়ে জট খুলুন, সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে
  • হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার
  • সমস্যা সমাধান করে নির্বাচনের পথে এগোন: অন্তর্বর্তী সরকারকে মির্জা ফখরুল
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে নভেম্বরে গণভোট, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে
  • অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই প্রকাশিত