যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সব সময় ফেডারেল আদালতের আদেশ মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স/ইপসসের এক জরিপে এমনটা দেখা গেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শুরু থেকেই বিচারকদের সমালোচনা করছে, যাঁরা কিনা ট্রাম্পের কয়েকটি নির্বাহী আদেশ আটকে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি সামনে এলে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা, বিশেষ করে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি বেশি নমনীয় থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

গত রোববার শেষ হওয়া তিন দিনের এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, এতে ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই বিবৃতির সঙ্গে একমত যে না চাইলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফেডারেল আদালতের রায় মেনে চলা উচিত। এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান।

যুদ্ধকালীন ক্ষমতার অধীনে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অভিবাসীদের বিতাড়ন সম্পর্কে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে ৭৬ শতাংশ রিপাবলিকান তাঁর এ পদক্ষেপের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। যদিও আদালত তাঁর এই পদক্ষেপ স্থগিত করে দিয়েছেন। ওই রিপাবলিকানরা মনে করেন, আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের বিতাড়ন অব্যাহত রাখা উচিত। অন্যদিকে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

সমীক্ষার ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ট্রাম্পের দলের বেশির ভাগ সদস্য এখনো বিশ্বাস করেন, সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করার এখতিয়ার থাকা উচিত আদালতের। তবে যেসব মানুষ দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ, তাঁদের বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে রিপাবলিকানরা আদালতের আদেশ অমান্য করার পক্ষে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প বল ক ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে  জুলাই সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে: আলী রীয়াজ  

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কমিশন ‘অনুঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিশন আবার বসবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে  জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সনদের দুটি অংশ। একটি অংশে ঐকমত্যের বিষয়সমূহ এবং অন্য অংশে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

শিগগিরই সনদ চূড়ান্ত করা যাবে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’

আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠন, সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি ও এখতিয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি।

রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আপনারা যে সব বিষয়ে একমত হয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়নের পথ আপনারা নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন। সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুঘটকের কাজ করবে।’

আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার আজ শেষ দিন। আজ যেসব বিষয় আলোচিত হবে, তার অধিকাংশই সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশেষ করে যেসব দায়িত্ব আপনাদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আপনাদের জানানো হবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘কিছু অনালোচিত বিষয়ের আলোচনা হবে। আর সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাবরক্ষক এবং ন্যায়পালসহ কিছু বিষয়ে আলোচনার ফ্লোর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই ছয়টি কমিশনের সুপারিশের সার-সংক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। যার একটি তালিকা দলগুলোর হাতে আছে। এ ছাড়া যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি ৬ ঘণ্টা আগে

আলী রীয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমতের সুযোগ ছিল এবং আছে। আজকের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে দলগুলো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।

আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যে আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।

আরও পড়ুন১২ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ২৯ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনপ্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
  • মৌলিক সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কার কী অবস্থান
  • উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে একমত হলেও বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট রূপরেখা চায় এনসিপি
  • নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর
  • রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে  জুলাই সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে: আলী রীয়াজ  
  • জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি
  • বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চান শিক্ষার্থীরা, একমত না শিক্ষকরা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ