সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্থান ক্লক টাওয়ার সেন্টারের। এ ভবনে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেলুন। আন্তর্জাতিক মানের এই সেলুনে সেবাগ্রহীতাদের খুব দ্রুত এবং বিরামহীন সেবা দেওয়া হচ্ছে। মূলত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পবিত্র মক্কা নগরে হজ ও ওমরাহ করতে আসা মানুষের সেবা দিতে এই সেলুন গড়ে তোলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সেলুন জোনের উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পবিত্র কাবা শরিফের আশপাশে নানা ধরনের সেবার মান বাড়ানোও একটা লক্ষ্য।

ক্লক টাওয়ার সেন্টারে গড়ে তোলা এই সেলুনে গ্রাহকদের জন্য ১৭০টি চেয়ার থাকছে। প্রাথমিক ধাপে দিনে ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহককে সেবা দেওয়া যাবে। গড়ে প্রতি তিন মিনিটে একজন গ্রাহককে সেবা দেওয়া হবে—এমন হিসাব করে এই লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

সেলুনের উচ্চ ধারণক্ষমতা ও দক্ষতার মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যতিক্রমী, মানসম্মত ও দ্রুত সেবা দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পবিত্র নগরীতে আসা পর্যটকদের জন্য সেবার মান আরও উন্নয়নের অংশ হিসেবে এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আসন্ন মাসার প্রকল্প, জাবাল ওমর ও ঠাকার প্রকল্পের সঙ্গে মক্কার প্রস্তুতি ও সংহতির অংশ হিসেবে সমন্বিত এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ