ঈদুল ফিতরে বেশ কটি নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়ছেন দর্শক। বাংলা সিনেমার পরিবর্তনের কথা বলছেন তারা। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘জংলি’। দেশের বেশ কটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে এটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও শবনম বুবলী। দর্শকরা সিনেমাটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন। অনেক দর্শককে কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে।

বুসন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে দর্শকদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, “জংলি’ অনেক ভালো সিনেমা। অসাধারণ।” এক নারী দর্শক চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, “বাংলা সিনেমা দেখে কাঁদতে কাঁদতে বের হচ্ছি।” আরেক নারী দর্শক বলেন, “বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ সিনেমাটি দেখতে পারবেন।” আরেক দর্শক বলেন, “সিয়াম আহমেদ নায়ক থেকে অভিনেতা হয়ে গেছেন।”

রহমান মতি নামে একজন ব্যাখ্যা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “সিয়ামের গেটাপের দিকে তাকালেই ‘জংলি’ সিনেমায় তার ডেডিকেশন লেভেল সহজেই ধারণা করা যায়। চরিত্রের শেড অনুযায়ী নিজেকে গড়েছেন। ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়ামকে অ্যাকশন লুকে যে পরিবর্তন দেখা গেছে, এটি তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সেরা। লুঙ্গি কাছা মেরে সাউথ ইন্ডিয়ান নায়কদের মতো সোয়াগ নিয়ে ফাইটিং করার বডি ল্যাংগুয়েজ ছিল দেখার মতো। চেষ্টায় কিনা হয়— এ কথার পারফেক্ট উদাহরণ সিয়ামের ‘জংলি’ চরিত্র।”

আরো পড়ুন:

পুরো মার্চ মাসটাই  ‘এস কে’ মাস: বুবলী

লুঙ্গি পরার কারণ ব্যাখ্যা করলেন বুবলী

মোহাম্মদ ওমর নামে একজন বলেন, “এই সিয়াম আহমেদের এমন অনবদ্য অভিনয় কিংবা গল্পে লাস্ট কবে দেখা গেছে জানা নেই। তবে এতটুকুও শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি সিয়াম আহমেদ তার সবচেয়ে হিট মুভি ‘পোড়ামন টু’-কেও ছাড়িয়ে গেছে ‘জংলি’-তে। শুরু থেকেই মুভির পর্দা থেকে চোখ সরানো যাচ্ছিল না, বিশেষ করে লাস্ট ১ ঘণ্টা। এমন ন্যাচারাল অ্যাক্টিং সিয়াম আহমেদের পুরো ক্যারিয়ারেও করেছে কিনা সন্দেহ।”

টিকিটের টাকা উসুলের নিশ্চয়তা দিয়ে মোহাম্মদ ওমর বলেন, “পুরো মুভিতে সিয়াম আহমেদ, বুবলী আর ছোট মেয়েটা অসাধারণ অভিনয় করেছে, যা লাস্ট পর্যন্ত দেখলে মন ছুয়ে চোখের কোণে পানি চলে আসতে বাধ্য। তাই যারা ফ্রি আছেন অবশ্যই হলে গিয়ে একবার হলেও ‘জংলি’ দেখে আসতে পারেন। আশা করি, টাকা উসুল হয়ে পুরো মুভিটা মনে গেঁথে থাকবে।” 

হাসানুল ইসলাম রেজা বলেন, “সিয়ামের সাথে বসেই ওর ‘জংলি’ সিনেমা দেখলাম। লিটার‌্যালি কান্দায় ছাড়ছে! এত ইমোশনাল সিনেমা! আমি ভেবেছিলাম, আমরা জংলি নামে কোনো অ্যাকশন মুভি দেখব। কিন্তু এটা দারুণ গল্পের আর ভীষণ আবেগঘন একটা সিনেমা। অনেক মানুষ সত্যি সত্যি কেঁদেছেন। কোনো সন্দেহ নেই, সিয়ামের সেরা মুভি এখন পর্যন্ত।” 

এম.

রাহিম নির্মিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়ামের বিপরীতে দুজন নায়িকা অভিনয় করেছেন। তারা হলেন— শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সুকৃতি সাহা ও মেহেদী হাসান। গানগুলোর কথা-সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স য় ম আহম দ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা

বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।

এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’

প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’

রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
  • একাধিক সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা