আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বাস্তবায়ন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি’ তৈরি করেছে। কারণ বিশ্বব্যাপী আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রির ফলে শেয়ার বাজারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শুক্রবার আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধকে আরো তীব্র করা এড়িয়ে চলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেছেন, “আমরা এখনো ঘোষিত শুল্ক ব্যবস্থার সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করছি, তবে ধীর প্রবৃদ্ধির সময়ে এগুলো স্পষ্টতই বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্ব অর্থনীতির আরো ক্ষতি করতে পারে এমন পদক্ষেপ এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের কাছে বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসন এবং অনিশ্চয়তা কমাতে গঠনমূলকভাবে কাজ করার আবেদন করছি।”

বুধবার ট্রাম্প তার ঘোষিত ‘মুক্তি দিবসে’ শুল্ক নীতি প্রকাশ করেন। তার এই নীতির ফলে প্রায় প্রতিটি দেশের পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি কর আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার এবং বিশ্বের অন্যান্য আর্থিক কেন্দ্রগুলোতে শেয়ারের দাম ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমেছে। শুক্রবারও শেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল। এদিন জাপানের নিক্কেই সূচক প্রায় ৩ শতাংশ কমেছে, সপ্তাহের শেষে ৯ শতাংশ কমেছে, যেখানে টোকিওর টপিক্স ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পিতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ব্যাংকিং শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি পতনের মধ্যে ছিল এশিয়া-কেন্দ্রিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এর দর কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ।

শুক্রবার তেলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৬৭ দশমিক ৪৮ ডলারে নেমে এসেছে। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন স্তর।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ কম ছ র জন য দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

শিগগিরই একীভূত হবে ৫ ইসলামী ব্যাংক, কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন না: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “বেসরকারি খাতের ৫টি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।”

রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৫টি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন। কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার।” 

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ