কানাডা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গ্রেফতার
Published: 4th, April 2025 GMT
কানাডার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিকোলাস কার্টন বার্বাডোসে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সম্প্রতি এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে ‘জ্যামাইকা গ্লিনার’ পত্রিকা এই তথ্য জানায়। ২৬ বছর বয়সী কার্টনকে রোববার (৩০ মার্চ) আটক করা হয়। তবে গ্রেফতারের নির্দিষ্ট কারণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে ক্রিকেট কানাডা (সিসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা পুরো পরিস্থিতি নজরে রাখছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা নিকোলাস কার্টনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও তার আটকের বিষয়ে অবগত আছি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং আমরা পরিস্থিতির সব আপডেট পর্যবেক্ষণ করছি।’’
সংস্থাটি স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছে, এই ঘটনার পরও দলের প্রস্তুতি ব্যাহত হবে না। ‘‘এই পরিস্থিতির সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের জাতীয় দল আগামী নর্থ আমেরিকা কাপের প্রস্তুতিতে পুরোপুরি মনোযোগী রয়েছে’’ —বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়।
আরো পড়ুন:
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন সভাপতি মোহসিন নকভি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বিমানে বাংলাদেশ নারী দল
কানাডা আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে শুরু হতে যাওয়া ‘নর্থ আমেরিকা কাপের’ প্রথম আসরে অংশ নেবে। এই টুর্নামেন্টে কানাডার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, বারমুডা, বাহামাস এবং আয়োজক দেশ কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তবে নিকোলাস কার্টনের এই অবস্থায় আসন্ন টুর্নামেন্টে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, এখনো তার দলে থাকা না থাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
বার্বাডোসে জন্ম নেওয়া কার্টন কানাডার ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। কানাডার হয়ে খেলার আগে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান কানাডার হয়ে এখন পর্যন্ত ২১টি ওয়ানডেতে ৫১৪ রান এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে ৬২৭ রান করেছেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫