Samakal:
2025-05-01@05:19:49 GMT

শাহরুখ-দীপিকা আবারও জুটি

Published: 8th, April 2025 GMT

শাহরুখ-দীপিকা আবারও জুটি

বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত অনস্ক্রিন জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন। যখনই শাহরুখ ও দীপিকা একসঙ্গে পর্দায় এসেছেন, তখন যেন এক আলাদা রসায়ন তৈরি হয়েছে। ‘ওম শান্তি ওম’ থেকে শুরু করে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘পাঠান’ কিংবা ‘জওয়ান’– প্রতিটি সিনেমাই যেন প্রমাণ করে দেয় এ জুটি কখনও পুরোনো হয় না।

এবার তাদের দেখা যাবে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের নতুন অ্যাকশন থ্রিলার ‘কিং’ সিনেমায়। ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে চলা ‘কিং’ সিনেমার গল্পে রয়েছে এক নতুন মোড়, এক নতুন আবেগ। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘কিং’ সিনেমায় দীপিকাকে দেখা যাবে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে। তিনি অভিনয় করেছেন শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খানের মায়ের ভূমিকায়। যদিও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রধান চরিত্র নয়, তথাপি চরিত্রটি পুরো গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। 
নির্মাতা সিদ্ধার্থ আনন্দ ও শাহরুখ উভয়েই এ চরিত্রের জন্য দীপিকাকে চেয়েছিলেন এবং দীপিকাও সানন্দে রাজি হন। ‘কিং’ সিনেমার গল্প এগিয়ে চলে প্রতিশোধ, সহানুভূতি আর সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে। শাহরুখ এ সিনেমায় অভিনয় করছেন একজন পেশাদার খুনির চরিত্রে, যার জীবনে হঠাৎই প্রবেশ করে এক কিশোরী। এই কিশোরী চরিত্রেই থাকছেন সুহানা খান। এক নির্জীব ঘাতক আর আহত মেয়েটির সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে তোলে এক অদ্ভুত রসায়ন। যার গভীরে আছে প্রেম, মমতা আর অতীতের ক্ষত। এই চরিত্রগুলোর মাঝে দীপিকার ভূমিকাটি গল্পে নিয়ে আসে অতিরিক্ত আবেগ ও নাটকীয়তা। 
প্রথমেই সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা সুজয় ঘোষের। সেই সময় গল্পটি ছিল থ্রিলারধর্মী আর শাহরুখের চরিত্র ছিল অতিথি চরিত্রের মতো। কিন্তু যখন সিনেমাটি সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালনার দায়িত্ব নেন, এরপর তিনি সিনেমার গল্পে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। এখন ছবিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যাকশন থ্রিলার, যেখানে শাহরুখ অভিনয় করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শুরুতে সুহানার মায়ের চরিত্রে টাবুকে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু গল্পের রূপরেখা পরিবর্তনের কারণে যুক্ত হন দীপিকা। 
এ সিনেমার ভিলেনের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। যিনি এক ভয়ংকর ও বুদ্ধিমান প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হবেন। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ‘মুঞ্জ্যা’খ্যাত অভয় ভার্মা। ‘কিং’ বর্তমানে প্রি-প্রোডাকশনের পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী মাসেই মুম্বাইয়ে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে জানা গেছে। সব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটলে সিনেমাটি ২০২৬ সালের শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানান নির্মাতা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাতারবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন  

বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের  বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮.৪৪৭৫ টাকা। এ কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

মাতারবাড়ি ৬০০¬X২ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। বাবিউবোর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য সিপিজিসিবিএল ও বাবিউবোর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিতব্য পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্যারিফ স্ট্রাকচার ও লেভেলাইজড ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকায় কেনার চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হিসাবে ৩০ বছর মেয়াদে সিপিজিসিবিএল-কে আনুমানিক ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে চূড়ান্ত ব্যয় হিসাব করে পুনরায় ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।

সিপিজিসিবিএল সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ লাভ হবে, তা সরকারের লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

প্রথম সংশোধিত ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০২১ সালের  ২৩ নভম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশন।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০২৬ এশিয়ান গেমসেও থাকছে ক্রিকেট
  • ২০২৬ এশিয়ান গেমসেও থাকছে ক্রিকেট
  • ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
  • আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটেই, চুক্তি চূড়ান্ত সই বাকি
  • মাতারবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন