বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়বে
Published: 9th, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে একটি সার্কুলার জারি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, “পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে তফসিলি ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ করে আমরা ডিবিএর পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছিলাম। গভর্নর আমাদের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে এ বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় আমরা তাকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, এই তহবিলের যথাযথ ব্যবহার ও বিনিয়োগ পুঁজিবাজারের তারল্য প্রবাহ বৃ্দ্ধিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি দৈনিক শেয়ার লেনদেনে গতি এনে বাজারকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে যাবে। গভর্নর পুঁজিবাজারের প্রতি সর্বদা সুদৃষ্টি রাখবেন এবং এর উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। এ কাজে সহযোগিতার জন্য আমরা ডিবিএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই।”
পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে আগের মতো ভবিষ্যতেও সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসইসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ তহব ল র ম য় দ ড ব এর প
এছাড়াও পড়ুন:
বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে: বিএসইসি
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগে বিশেষ কর ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা’ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আস্থা বাড়াতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সূচক পতনের কারণ খুঁজতে যেসব শেয়ারদরের ওঠা-নাম সূচকে বেশি প্রভাব ফেলছে, সেগুলোর লেনদেনে নজদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত, বহুজাতিক, বস্ত্র ও ওষুধ খাতের লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহ দিতে কর ছাড়, ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সীমিত করা এবং শেয়ারবাজারকে বিকল্প অর্থায়নের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর বাইরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয় বাড়ানো, আসন্ন বাজেটে লভ্যাংশ ও বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে বিএসইসি।
শেয়ারবাজার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো এবং বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে বার্তা দেওয়া হবে।
কমিশন আশা করছে, এসব পদক্ষেপ এবং কর্মপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীল হবে।
এদিন রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসি কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, শেয়ারবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
চলতি এপ্রিলে লাগাতার দরপতনের পরও বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে কিছু বিনিয়োগকারী রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করছেন। তারা সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ পদে ‘অযোগ্য’ এমন অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
সরকারি একটি সংস্থার চাপে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন- এমন গুজবে রোববার পতনের ধারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শেয়ারবাজার। পতন করছেন না- এমন খবরে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও এফআইডির সচিব বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিছু জরুরি কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়।