ঘরে আগুন লাগলে আটকা পড়েন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তি, পুড়ে মৃত্যু
Published: 13th, April 2025 GMT
মাগুরার শালিখা উপজেলায় আগুনে পুড়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার আড়পাড়া বাজারের পুরাতন পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের পেছনে এক স্বর্ণকারের বাড়িতে আগুন লাগে। এতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ওই ব্যক্তি ঘরে আটকা পড়েন। পরে আগুনে পুড়ে তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সুমন কর্মকার (৪২)। তিনি আড়পাড়া গ্রামের দিলীপ কর্মকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাড়িতে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়ির অন্য লোকজন নিরাপদে সরে যেতে পারলেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত সুমন কর্মকার ঘরের মধ্যে আটকা পড়েন। পরে আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি চার বছরের বেশি সময় ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় শয্যাশায়ী ছিলেন।
শালিখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫