তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম স্পর্শনির্ভর ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম
Published: 14th, April 2025 GMT
‘আয়রনম্যান ২’ বা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর সিনেমায় আমরা বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রযুক্তির ব্যবহার দেখেছি। ২০১০ সালে ‘আয়রনম্যান’ সিনেমায় টনি স্টার্ক ভার্চ্যুয়াল ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম প্রযুক্তির দারুণ এক নিদর্শন দেখিয়েছিলেন। এবার সিনেমায় দেখা সেই প্রযুক্তির আদলে বিশ্বের প্রথম স্পর্শনির্ভর ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম তৈরি করেছেন স্পেনের পাবলিক ইউনিভার্সিটি অব নাভাররার একদল বিজ্ঞানী। ইলাস্টিক ডিফিউজার স্ট্রিপ ব্যবহার করে তৈরি ত্রিমাত্রিক হলোগ্রামটি হাত দিয়ে অনুভবও করা যাবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
হলোগ্রাম সাধারণত সুইপ্ট ভলিউমেট্রিক ডিসপ্লে ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। যার অর্থ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন হাজার বার বিভিন্ন উচ্চতায় একটি শক্ত স্পন্দিত পৃষ্ঠের ওপর চিত্র প্রক্ষেপণ করা হয়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিফিউজার বলা হয়। এর ফলে বিশেষ চশমা ছাড়াই ত্রিমাত্রিক বস্তু দেখা যায়। ডিফিউজার এত দ্রুত চলে, যা মানুষের চোখে প্রায় অদৃশ্য থাকে।
আরও পড়ুনবিভিন্ন দেশের ‘হলোগ্রাফিক' শিক্ষকেরা পড়াবেন যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে২৫ জানুয়ারি ২০২৪বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ফ্লেক্সিবল সিস্টেম তৈরির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত উপাদান হিসেবে ইলাস্টিক ব্যান্ড বেছে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্পর্শনির্ভর স্মার্টফোনের পর্দায় যেভাবে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখা যায় ঠিক সেভাবে ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম দেখার সময় স্পর্শ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হলোগ্রাফি হচ্ছে এমন একধরনের ফটোগ্রাফিক প্রযুক্তি, যা কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা ত্রিমাত্রিক ছবি ‘হলোগ্রাম’ নামে পরিচিত।
সূত্র: নিউ অ্যাটলাস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ম ত র ক হল গ র ম ব যবহ র স পর শ ন র ভর
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫