বার্নাব্যুতেও হার রিয়ালের, সেমিতে আর্সেনাল
Published: 17th, April 2025 GMT
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ছাদ বন্ধ করে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে কামব্যাকের স্বপ্ন বুনেছিল তারা। কিন্তু আর্সেনালের কাছে দ্বিতীয় লেগেও ২-১ গোলে হেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
এর আগে গানারদের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে পা রেখেছে প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনাল।
বার্নাব্যুতে কামব্যাকের মন্ত্র জপে প্রথমার্ধে হতাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। গোলশূন্য প্রথামার্ধে গোলে কোন শটই নিতে পারেনি তারা। অবশ্য রিয়ালের কামব্যাকের স্বপ্ন প্রথমার্ধে শেষ করে দেওয়ার সুযোগ হারায় আর্সেনালও। পেনাল্টি পেয়ে পানেনকা মারতে গিয়ে তা মিস করেন বুকোয়াকা সাকা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করেন ওই সাকা। গানারকে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে ও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন। এক মিনিট পরই ব্যবধান কমান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু কামব্যাক করার মতো সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি। বরং যোগ করা সময়ে আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মার্টেনেল্লি রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল আর স ন ল ক মব য ক
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫