নম্বর জালিয়াতি: বেরোবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির অভিযোগ
Published: 20th, April 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগের সত্যতা মিললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমসি করছে বলে জানা গেছে।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো.
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে শোনা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওই ছাত্রীকে বলেন, তাকে ৩.১৬ রেজাল্ট থেকে ৩.৭০ করে দিয়েছেন এবং শিখিয়ে দিচ্ছেন কেউ জিজ্ঞাসা করলে কি বলতে হবে। তিনি ওই ছাত্রীকে বলেন, “তুমি প্রথমে চাইছিলা ‘স্যার আমাকে ফার্স্ট করে দেন।’ আমি দিতে পারতাম। আজকে কি জবাবটা দিতাম?” তিনি আরো বলেন, “একদম সাইলেন্ট।” জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, “আমি চুপচাপ আছি।”
ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে ছাত্রীর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেউ কেউ মনে করছেন বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করতে চাচ্ছে না।
ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপে সাজিয়া করিম নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন, “ঘাড়ত্যাড়া টিচার মানা যায়, কিন্তু চরিত্রহীন মানা যায় না। এই ব্যাটা যদি টিচার থেকে যায়, তাহলে তো এরকম ঘটনা আরো ঘটবে।”
জাহিরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “রক্ষকই যদি হয় ভক্ষক, তাহলে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
অভিযুক্ত বেরোবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তানজিউল ইসলাম জীবনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটি নিয়ে বিভাগে সব শিক্ষার্থীসহ বসা হবে। সে পযন্ত অপেক্ষা করেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলী বলেন, “এসব বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো দপ্তরে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ছ ত র ল ইসল ম পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫