‘প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষায় দলগত প্রচেষ্টা দরকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বরের থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি গ্যালারির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

মো. বাহানুর রহমানের সভাপতিত্বে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম নাজমুল হুসাইন নাজিরের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞাঁ ইত্যাদি। সেমিনারে ম‍ূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. মকবুল হোসেন।

সেমিনারে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাহানুর রহমান বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের ভাতা বাবদ মাত্র ১৭ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। যা বর্তমান সময় অনুযায়ী অত্যন্ত কম। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে অনুরোধ করবো এই ভাতা যেন দ্রুত বৃদ্ধি করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে ভেটেরিনারি শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। ডেইরি ও পোল্ট্রি গবেষণার উন্নয়‌নের জন‌্য সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরে গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের আবাসনের সুব্যবস্থার জন্য ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ১০তলা ভবন নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।” 

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, প্রাণী চিকিৎসা ও শিক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর নানা আয়োজনে এ দিনটি পালন করা হয়। বাকৃবি ভেটেরিনারি শিক্ষার সূতিকাগার। ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগেও কলেজের মাধ্যমে প্রাণী চিকিৎসা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হত।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের ৭৫ শতাংশের বেশি রোগ প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। তাই মানবজাতির সুরক্ষার জন্য প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। তবে প্রাণীর সুরক্ষা প্রদান করা ভেটেরিনারিয়ানদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে প্রাণীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও প্রাণী চিকিৎসার জন‌্য ভেটেরিনারিয়ানদের আরো দক্ষ করে তুলতে হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ