পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ
Published: 28th, April 2025 GMT
পঞ্চগড়ে পরীক্ষার দিন বাদে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা এবং কোচিং বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল ছুটি নিয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে সেইসব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয় নিজস্ব সিদ্ধান্তে। প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ক্লাস বন্ধ থাকার কারণে এই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে। লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়। এসব দিক বিবেচনা করে যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেসব স্কুল ও কলেজে পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শুধু পরীক্ষার দিন বন্ধ রেখে বাকি দিনে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ক্লাস শুরুও করেছে। দেশের মধ্যে প্রথম পঞ্চগড় জেলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে রাজশাহী পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
শুধু স্কুল ছুটি এবং ছুটির পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ভিত্তিতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কোচিং পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোচিং নিয়ে সরকারি নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করে কোচিং পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার বাইরে কোচিং বাণিজ্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র দ ন ব
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট