Prothomalo:
2025-06-17@06:20:34 GMT

৩৫ টাকায় ‘প্রিয় সত্যজিৎ’

Published: 2nd, May 2025 GMT

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’। প্রসূন রহমান পরিচালিত এই ট্রিবিউট ফিল্মটি এর আগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়ে প্রশংসা ও পুরস্কার অর্জন করেছে। এবার দেশের দর্শকেরা এটি দেখতে পারবেন জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চরকির সাবস্ক্রাইবারেরা সিনেমাটি দেখতে পারবেন নিয়মিত নিয়মেই। আর যাঁরা সাবস্ক্রাইবার নন, তাঁরা ৩৫ টাকা দিয়ে দেখে নিতে পারবেন সিনেমাটি। এ জন্য তাঁদের চরকি অ্যাপটি ফোন বা পিসিতে ইনস্টল করে লগইন করতে হবে ফোন নম্বর বা ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে। ‘বাই টিকিট’ অপশনের ভেতরে বা হোম পেজে থাকা ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ সিনেমাটিতে ক্লিক করলেই চলে আসবে পেমেন্ট অপশন। পছন্দের পদ্ধতিতে টাকা জমা দিয়ে দেখে নেওয়া যাবে সিনেমাটি। একই পদ্ধতিতে ভারতের দর্শকেরা ৩৫ রুপিতে এবং বাংলাদেশ-ভারত ছাড়া অন্য দেশের দর্শকেরা ১ দশমিক ৯৯ ডলারে দেখতে পারবেন সিনেমাটি।

গল্প ও নির্মাতা–ভাবনা

‘প্রিয় সত্যজিৎ’-এর কাহিনি গড়ে উঠেছে তিন সময়ের তিন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ঘিরে। প্রথমজন সত্যজিৎ রায়—যিনি উপস্থিত না থেকেও ছবির প্রতিটি অনুভবে বিরাজমান। বাকি দুই নির্মাতা দুই প্রজন্মের প্রতিনিধি।

প্রবীণ নির্মাতা আসিফ মাহমুদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত গুণী অভিনেতা আহমেদ রুবেল এবং নবীন নির্মাতা অপরাজিতা চরিত্রে রয়েছেন মৌটুসী বিশ্বাস। আরও অভিনয় করেছেন পংকজ মজুমদার, সাইদ বাবু, সঙ্গীতা চৌধুরী, লাবণ্য চৌধুরী প্রমুখ। নির্মাতা প্রসূন রহমানের ভাষ্যে ‘এটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ের ছবি নয়। সত্যজিৎকে সঙ্গী করে সাহিত্যের প্রতি, সিনেমার প্রতি, শিল্পের প্রতি ভালোবাসা জানানো এক নিবেদন। এটি আমাদের “লাভ-লেটার টু সিনেমা”।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পটভূমিতে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে বড় কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় তিনি নিজ উদ্যোগে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। চরকির হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ফয়সাল রহমান বলেন, ‘“প্রিয় সত্যজিৎ”চরকিতে বিশেষ উদ্যোগে মুক্তি পেয়েছে। কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি যেন সবার দেখার সুযোগ থাকে, সে জন্য আমরা সিনেমাটি ট্র্যানজেকশনাল ভিডিও অন ডিমান্ড বা টিভিওডি পদ্ধতিতে মুক্তি দিয়েছি। এই অপশনে আরও ৩টি কনটেন্ট রয়েছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে এ তালিকা দীর্ঘ হবে।’

প্রসূন রহমান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র প রব ন রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট্ট মেয়েকে কেন নিয়মিত ই মেইল পাঠাচ্ছেন আলিয়া

 

মেয়ে রাহা আসার পর বদলে গেছেন মা অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। জন্মের পর থেকেই প্রতি মাসে রাহাকে একটি করে ই-মেইল লিখে পাঠিয়ে আসছেন আলিয়া। তাতে লেখা থাকে–আজ রাহা প্রথম হেঁটেছে এক পা, আজ সে দাদির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল, আজ সে বাবার গালে এক ছোট্ট চুমু খেয়েছে। সেই ই-মেইলের সঙ্গে থাকে অসংখ্য ছবি–কখনও বাবার সঙ্গে খেলায় মত্ত, কখনও মায়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুম। ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টে সাজিয়ে রাখা থাকে ছোট ছোট মুহূর্তের জীবন্ত স্মৃতি। আলিয়া বলেন, আমি চাই, রাহা যখন বড় হবে। ওর যখন ১৫ বছর বয়স হবে, তখন আমি তাকে মেইল বক্সটি দিয়ে বলব, ‘এই দেখো, এগুলো তোমার ছোটবেলার গল্প। এইভাবে আমরা তোমায় ভালোবেসে বড় করেছি।’ রাহা আসার পর অনেক কিছুই বদলেছে আলিয়ার জীবনে। আগের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে পারেন তিনি, অনেক কিছু বুঝে নিতে পারেন সময় নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘আমি নিজেকে নতুন করে চিনতে শিখেছি।’ তবে এই মাতৃত্বের যাত্রা একেবারে খোলামেলা ছিল না শুরু থেকেই। প্রথমদিকে মেয়েকে আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরুতে রাহার একটিও ছবি প্রকাশ করেননি। কারণ ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশ থেকে রাহাকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন তারা। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু। একদিন আলিয়া নিজেই নিয়ে এলেন ছোট্ট রাহাকে পাপারাৎসির সামনে। সেদিন সবাই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, ক্যামেরা দেখে ভয় পায়নি একরত্তি রাহা। সাবলীলভাবে তাকিয়ে পোজও দিয়েছিল। যেন একেবারে তৈরি সে, এই দুনিয়ার আলো আর ক্যামেরার ঝলক সামলাতে। এরপর চলতি বছরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাহার সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। পাপারাৎসিকে অনুরোধ করেছেন, যেন রাহার ছবি না তোলা হয়। রণবীর তো এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপস্থিত। আলিয়াও এখন মেয়েকে নিয়ে খুবই রক্ষণশীল। তিনি চান, রাহা নিজের ইচ্ছায় বড় হোক, নিজের শর্তে পরিচিত হোক দুনিয়ার সঙ্গে। 
ক্যামেরার সামনে আলিয়া নানান চরিত্রে অভিনয় করেন। বাস্তব জীবনে তাঁর সেরা চরিত্র ‘মা’ এবং সেই চরিত্রে তিনি নিজের জন্য নয়, রাহার জন্য প্রতিটি দিন লিখে রেখে যাচ্ছেন একেকটি দৃশ্য। একেকটি লাইভ মেমোরি। যেন একদিন সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন জানবে তার জীবনের গল্প; সে যেন দেখে, ভালোবাসা কেমন করে জমা হয় প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তে। সূত্র: আনন্দবাজার। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ