নতুন ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ: ডিএনসিসি প্রশাসক
Published: 7th, May 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের জনদুর্ভোগ কমাতে ড্রেনেজ ও রাস্তার উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) রাজধানীর দক্ষিণখানে নবনির্মিত সড়ক উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ এজাজা বলেন, “প্রাথমিক পর্যায় রাস্তাগুলোকে ৩০ ফুট করে করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই সড়কগুলো ৭০ থেকে ১০০ ফুটে রূপান্তর করা হবে।”
আরো পড়ুন:
ঢাকার মূল সড়কে ব্যাটারির রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক
ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক
তিনি বলেন, “নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সঙ্গে এয়ারপোর্ট রোডের সংযোগ স্থানগুলোতে তিনটি রেলক্রসিং রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই তিনটি রেলক্রসিংয়ে তিনটি ফ্লাইওভার করার কাজ শুরু করা হবে।”
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের প্রথম ফেইজে ইতোমধ্যে ২৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই রাস্তাগুলোর ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের কাজ শেষ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “রাজধানীর যানচলাচলে শৃঙ্খলা ফিরতে আগামী মাসের মধ্যে বুয়েটের ডিজাইন করা অটোরিকশা প্রস্তুত করা হচ্ছে। অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দিয়ে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ঢাকা শহরে নির্দিষ্ট সংখ্যক অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। ভাড়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্ট থাকবে ও নির্ধারিত পার্কিংয়ের স্থান থাকবে।”
অন্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলোই পরবর্তী সময়ে বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো?
পিঙ্ক ফ্ল্যাগ কী
সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগগুলো নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি সচেতন হয়ে উঠছি। সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অসম্মান, মূল্যায়ন না করা, সারাক্ষণ সন্দেহ করতে থাকা, চাপে রাখা—এসবকে এককথায় রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আবার আপনি ঠিক যেমন সম্পর্ক আশা করেন, সম্পর্কে যা যা চান, তা মিলে যাওয়াকে বলে গ্রিন ফ্ল্যাগ। তবে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেসব ঠিক রেড বা লাল নয়, আবার গ্রিন বা সবুজও নয়, মাঝামাঝি বলা চলে। আপাতদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে সেসবকে ‘পাত্তা দেওয়ার মতো’ বড় সমস্যা মনে না হলেও সময়ে বা পরিস্থিতিতে সেসব রেড ফ্ল্যাগের মতোই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি হতে পারে বিচ্ছেদের কারণও। রোমান্টিক বা দাম্পত্য সম্পর্কে সেই পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো কী?
১. দুজনের ‘লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ ভিন্নএকজনের কাছে হয়তো সম্পর্কে শারীরিক আকর্ষণটা মুখ্য, অন্যজনের কাছে ভালোবাসা হলো সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা, সঙ্গীর জন্য নানান কিছু করা বা হতে পারে ভালো ভালো রেঁধে খাওয়ানো। এখন একজন যদি অন্যজনের ভালোবাসার ভাষাকে মূল্যায়ন না করেন, তাহলে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুনকেন শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫২. দুজনের জীবনের লক্ষ্য ভিন্ন হওয়াধরুন, দুজনার একজন সন্তান চাইছেন। আরেকজন সন্তানের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন। এই দ্বিমত সম্পর্ক ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
৩. ঝগড়া এড়িয়ে চলাসম্পর্কে দুটি মানুষের দ্বিমত, ভিন্নমত, মান-অভিমান থাকাটাই স্বাভাবিক। ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয় না’—এর মানে দুজনের কোনো একজন অথবা দুজনই ঝগড়া এড়িয়ে যাচ্ছেন, চেপে যাচ্ছেন, নীরবে সইছেন, নিজেকে প্রকাশ করছেন না বা চুপচাপ সবকিছু মেনে নিচ্ছেন। এ রকম ছোট ছোট অমীমাংসিত ইস্যু একসময় এত বড় আকার ধারণ করবে যে সেটা আর কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হবে না। আর ঠিক এ কারণেই ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই’ মানে সেই জুটির বড় কোনো সমস্যা আছে! কেননা কোনো একজন অথবা দুজন সমস্যা প্রকাশই করছেন না বা করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
৪. প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বআপনি যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনার সঙ্গী বাহ্যিক উদারতা দেখিয়ে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে মেনে নিতে পারেন না। আর সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। তাই সম্পর্কবিশেষজ্ঞরা প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাটাকেই শ্রেয় মনে করেন।
আরও পড়ুনপ্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৫. অর্থনৈতিক বিষয়ে দ্বিমতধরুন, আপনি ‘একটু কম খেয়ে কম পরে’ টাকা জমিয়ে আগে একটা বাড়ি কিনতে বা বানাতে চান। আর আপনার সঙ্গী ‘ইউ অনলি লিভ ওয়ান্স’ মতবাদে বিশ্বাসী। তিনি তাঁর সব ছোটখাটো শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বাঁচতে চান। তিনি বাড়ি–গাড়ি চান না। বিশ্ব ঘুরে দেখাই তাঁর ইচ্ছা। প্রাথমিকভাবে এটিকে বড় সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তী সময়ে তা জটিল আকার ধারণ করে সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ না করাআপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিজের অনুভূতি যথাযথভাবে প্রকাশ না করেন, তখন শুরু হয় ‘গেসিং গেম’। এর ফলে সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়।
কী করবেনএসব ক্ষেত্রে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো জমে জমে গাঢ় হয়ে রেড ফ্ল্যাগ হয়ে ওঠার আগেই সেসবের মোকাবিলা করতে হবে। সম্পর্কটাকে যদি দুজনেই সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাহলে দুজনকেই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মনের গভীরের কথা শোনার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় আপনার মন আপনাকে বারবার সতর্ক করে দেয়। কিন্তু আপনি প্রেমে পড়ার প্রাথমিক আবেগে বা শারীরবৃত্তীয় রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার প্রভাবে সেসবে পাত্তা দেন না। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের মনের কথা শুনুন। নিশ্চিত হয়ে তবেই আগান।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনএই ১০ রেড ফ্ল্যাগের কয়টি আপনার মধ্যে আছে০১ মে ২০২৫