সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা
Published: 7th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আড়াই বছর বয়সী মেয়েকে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সাড়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
মারা যাওয়ারা হলেন- একই এলাকার প্রবাসী রাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) ও তার সন্তান লামিয়া।
স্থানীয়রা জানান, রেশমা খাতুন পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কয়েকদিন ধরে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি। ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তারা রেশমা খাতুনের মরদেহ ঝুঁলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা দরজা ভেঙে লামিয়ার মরদেহ দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
বৃহস্পতিবার রেশমা খাতুন তার মেয়ে লামিয়াকে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। এরপর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ জানান, ঘটনাটি সত্য। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সন্তানকে হত্যা করে মা আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ অভ য গ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিএনপির মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে।
১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।
আরও পড়ুনবিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭ ঘণ্টা আগে