ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
Published: 7th, November 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলের হামলার পেছনে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের একক সিদ্ধান্তেই ওই হামলা হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল প্রথমে হামলা চালায়। সেই হামলা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। আমি পুরোপুরি এই হামলার দায়িত্বে ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামলার প্রথম দিন ইসরায়েলের জন্য একটি অসাধারণ দিন ছিল। কারণ, অন্যান্য হামলার তুলনায় সেদিন সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।’
ইসরায়েল গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানে বিধ্বংসী আক্রমণ চালায়। এতে অনেক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষে যোগ দেয় এবং ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। তবে যুদ্ধের প্রথম দিনগুলোতে ওয়াশিংটন বলেছিল, ইসরায়েল একক সিদ্ধান্তে হামলা চালিয়েছে। ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন সেনা ও তাদের স্বার্থের ওপর কোনো রকম প্রতিশোধমূলক হামলা না চালাতেও তেহরানকে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র
ওই সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আজ রাতে ইসরায়েল ইরানের ওপর এককভাবে হামলা চালিয়েছে। আমরা এ হামলার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীকে সুরক্ষা দেওয়া।’
ইরান কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর একটি যুদ্ধবিরতি হয়।
এর পর থেকে ট্রাম্প যুদ্ধের ফলাফলের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বারবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করেছে। তিনি এই বিষয়টিকে তার প্রশাসনের বড় কৌশলগত অর্জনের অংশ বলেও দাবি করেছেন।
আরও পড়ুনইরানে শাসন পরিবর্তনে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন কতটা বাস্তব২২ ঘণ্টা আগেতবে গতকাল ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, গোড়া থেকে তিনিই এ যুদ্ধের সূচনা করেছেন।
ইরানের পক্ষ থেকে এখনো তাদের পারমাণবিক স্থাপনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইরানি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো কার্যকর। মূলত গত কয়েক দশকে অর্জিত জ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এটি পরিচালিত হচ্ছে। তারা আরও বলেছেন, নীতিগত ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বজায় থাকায় ইরান পারমাণবিক গবেষণা ও উৎপাদন কার্যক্রম যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে সক্ষম।
আরও পড়ুনগোপনে ইরানে ঢুকে যেভাবে হামলা করেছিল ইসরায়েল২৭ জুন ২০২৫আরও পড়ুনইরানে হামলা করে যে উভয়সংকটে ইসরায়েল২০ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়ন ব্যয় ৪৫ লাখ টাকা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এই তথ্য সর্বৈব মিথ্যাচার।