ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন।

একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।

লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন রোনালদোর০৫ নভেম্বর ২০২৫

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’

রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে রোনালদো কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা নিয়েও, ‘বাজে একটি মৌসুমেও যখন আল নাসর কোনো ট্রফি জেতেনি, তখনো আমি ২৫টি গোল করেছি। যদি আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলতাম, তাহলে এখনো একই রকম গোল করতাম। ভালো দলে থাকলে ৪০ বছর বয়সেও একই রকম পারফর্ম করতাম।’

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় শিগগিরই বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শিগগিরই বহুজাতিক বাহিন মোতায়েন করা হচ্ছে। এই বাহিনীতে সম্ভবত মিসর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যরা থাকবেন। এটিকে গাজার জন্য ট্রাম্পের যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন পরিকল্পনার অংশ মনে করা হচ্ছে।

মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, এটা খুব শিগগিরই হতে চলেছে। গাজার পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সমস্যা নিয়ে আপনারা খুব বেশি কিছু শুনছেন না। আমি আপনাদের বলতে চাই, যদি হামাসের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়, তার জন্য দেশগুলো স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে।’

এই বহুজাতিক বাহিনীর কাজ হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় যাচাই করা ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সহায়তা করা, যার পেছনে মিসর ও জর্ডানের সমর্থন থাকবে।

ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, গাজায় শান্তি সুদৃঢ় রয়েছে। হামাস যদি তার ভূমিকা পালন না করে, তবে তারা তাদের কাজের ফল ভোগ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ