নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহোদর দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাঁরা দুজন স্থানীয় বিএনপির নেতা। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত চারটি ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।

ওই দুই বিএনপি নেতা হলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ ও পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল জলিল। আবদুর রউফ ও আবদুল জলিল সম্পর্কে আপন ভাই। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁদের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বালুমহালের দখল ও ঝুট সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবদুর রউফ ও তাঁর ছোট ভাই আবদুল জলিলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে আবদুল জলিলের সমর্থক রহিস উদ্দিন, তুক্কি মিয়া, বাদশা ও স্থানীয় জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা (আবদুল জলিলের সমর্থক) মো.

সজীবের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে তাঁদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়।

থানার পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে গেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর অগ্নিসংযোগকারীরা ইটপাটকেলও ছুড়েছে। পরে আমরা খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই নেতাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান সোনারগাঁ ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ অফিসার জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি বাড়ির আগুন নেভানোর আগেই অগ্নিসংযোগকারীরা আরেকটি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে গেলে তাঁরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। পরে পুলিশের সহায়তায় আমরা আগুন নেভাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম (মান্নান) প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত থাকুক, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের কেউ যদি সংগঠনে যুক্ত থাকে, তাহলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেব। এরই মধ্যে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন ন ভ ত ল ইসল ম ব এনপ র স ন রগ এল ক য় স ঘর ষ র সমর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিএনপির মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে।

১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।

আরও পড়ুনবিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ