‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিএনপির মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে।

১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।

আরও পড়ুনবিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীকে দেখে স্লোগান দিয়ে নদীতে লাফ

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। ঢাকা থেকে তার বাড়ি ফেরার সংবাদে নদীপাড়ে জড়ো হন অসংখ্য সমর্থক। এ সময় তাকে আসতে দেখে কয়েকজন সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পাড়ে ঘটনাটি ঘটে। 

এ দিন মাহবুবুর রহমান স্পিডবোটে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে নদী পাড়ে হাজারো সমর্থক উপস্থিত হন। তাকে বহনকারী স্পিডবোট পাড়ের দিকে এগিয়ে আসার সময় কয়েকজন সমর্থক ‘মাহবুবুর ভাই’ ‘মাহবুবুর ভাই’ স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপ দেন এবং তারা সাঁতরে স্পিডবোটের কাছে চলে যান। এ সময় মাহবুবুর রহমান তাদের স্পিডবোটে তুলে নেন এবং সবাইকে নিয়ে জামালগঞ্জ রিভার ভিউয়ের মাঠে পথসভায় যোগ দেন। 

পথসভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কখনো কোনো আন্দোলনে পিছনে ফিরে তাকাইনি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গ্রেনেড হামলায় আমার বাম কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সব  ধরনের সহযোগিতা করেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেও কাজ করেছি।’’

‘‘আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমি আপনাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আপনারা অশ্রুসিক্ত নয়নে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি সেই ভালোবাসা নিয়ে আজীবন জনকল্যাণে কাজ করে যাব।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারেক জিয়া আমার নেতা। ধানের শীষ আমার ঠিকানা। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।’’  

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মালিক, দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বাবায়ক আজাদ হোসেন বাবলু, ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী ব্যাপারী প্রমুখ।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনিসুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন। 

ঢাকা/মনোয়ার// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ