শীতকালীন সুপারফুড ‘বেতো শাক’ খেয়ে যেসব উপকার পাবেন
Published: 7th, November 2025 GMT
শীতকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেতো শাক। এটি বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, খনিজে ভরপুর। এ ছাড়াও এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এছাড়া এতে থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং ফোলেটের মতো বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনও পাওয়া যায়। শীতকালে যা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা এই শাক খেতে পারেন। এ ছাড়া শীতে মানুষের ওজন বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়, বেতো শাকে থাকা উপাদান ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এছাড়াও বেতো শাকের অন্যান্য গুণ রয়েছে।
হাড়ের সুস্থতা
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে এটি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আরো পড়ুন:
খাওয়ার আগে নাকি পরে হাঁটা ভালো
ঘাড় ব্যথা কেন হয়, চিকিৎসা ও করণীয়
হজমের উন্নতি
এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ
আয়রনের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
রক্ত পরিশোধন
বেতো শাক রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
ত্বক ও চুলের যত্ন
এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেতো শাক জ্বর কমাতে, লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ত্বকের কিছু সমস্যা নিরাময়েও কাজ করে। সুতরাং আপনার ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন শীতকালীন এই সুপারফুড।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবিতে গাইবান্ধায় সমাবেশ
দীর্ঘ নয় বছরেও গাইবান্ধার তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার হয়নি। আহতদের অনেকে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাসের বাণী দেওয়া হলেও তার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় ‘সাঁওতাল হত্যা দিবসে’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ
টাঙ্গাইল-৩: বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে যায়। তখন পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিকদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দয়ায় সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় ৩০ জন সাঁওতাল আহত হন। পরে তাদের মধ্যে মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম নামে তিন সাঁওতাল মারা যান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হত্যার বিচার, আসামিদের গ্রেপ্তার, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এর আগে, সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামে নির্মিত অস্থায়ী শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে কালো পতাকা, সাঁওতালদের ঐতিহ্য তীর-ধনুক, ব্যানার, বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ স্থলে মিলিত হয়। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, গোবিন্দগঞ্জ ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটি ঢাকা এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাহেবগঞ্জ নিমতলা মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি গণেশ মুরমু। বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি রেবেকা সরেন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রভাত টুডু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বায়ক আতোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন মোল্লা, আদিবাসী নেতা রাফোয়েল হাসদা, কামিল হেমব্রম, সমাজকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা।
একইদিনে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সাঁওতাল হত্যা দিবসের আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির একাংশের সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সেখানে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খায়রুল কবির, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আদিবাসী নেত্রী বিচিত্রা তিরকিত, গাইবান্ধা আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সমাজকর্মী মোর্শেদ হাসান দীপন।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ