খসড়া তালিকা প্রকাশ, জকসু নির্বাচনে ভোটার ১৬ হাজার ৩৬৫
Published: 7th, November 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জকসু সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী ৪১টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৬৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার রয়েছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন ভোটার রয়েছে ভাস্কর্য বিভাগে।
আরো পড়ুন:
জকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর
জবি শিবিরের মেধাবীদের তালিকায় নেই ৩ বিভাগের শিক্ষার্থী
ভোটার তালিকা অনুযায়ী নৃবিজ্ঞান বিভাগে মোট ভোটার ৪২৬ জন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ৯৬১ জন, বাংলায় ৪৭৪ জন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ২১৫ জন, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে ৪৪৩ জন, রসায়নে ৫৫২ জন, সিএসইতে ৩৪৬ জন, ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিংয়ে ১১৯ জন।
এছাড়া অর্থনীতিতে ৪২৪ জন, ইংলিশে ৪৯৭ জন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনে ১৬৯ জন, ফাইন্যান্সে ৬১৬ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৫৩ জন, পরিবেশ বিদ্যায় ৪০৮ জন, ইতিহাসে ৪৮৩ জন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৩৩৩ জন এবং আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটে মোট ভোটার ২৪৩ জন।
ইসলামের ইতিহাসে ৪৬৮ জন, ইসলাম শিক্ষায় ৪৩৭ জন, আইন বিভাগে ৫৮৫ জন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৯৭০ জন, মার্কেটিংয়ে ৫৯৮ জন, সাংবাদিকতা বিভাগে ৫২৮ জন, গণিত বিভাগে ৫৩২ জন, মাইক্রোবায়োলজিতে ২৮০ জন, সংগীতে ২৩৬ জন এবং ফার্মেসি বিভাগে ২৬৬ জন ভোটার রয়েছে।
এছাড়া দর্শন বিভাগে ৪৪৩ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৪২০ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৪০৪ জন, প্রিন্ট মেকিংয়ে ১০৪ জন, সাইকোলজিতে ৪৫৩ জন, লোকপ্রশাসন বিভাগে ৪৬১ জন, ভাস্কর্যে ৭৫ জন, সমাজকর্মে ৪৬৭ জন, সমাজবিজ্ঞানে ৪৬৯ জন, পরিসংখ্যানে ৫২৯ জন, নাট্যকলায় ১৭৮ জন এবং প্রাণিবিজ্ঞানে ৪৯১ জন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোতেও খসড়া ভোটার তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকায় নিয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকলে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সময় আগামী ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর। এরপর আপত্তি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ নভেম্বর।
এদিকে, খসড়া ভোটার তালিকায় অনেক বিভাগেই স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্রেডিট অপূর্ণ থাকা বা পুনরায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম বাদ পড়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিভাগ ও কমিশনের ভুল বোঝাবুঝির ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে তা সংশোধন করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় তাদের নাম থাকবে।
ঢাকা/লিমন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইনস ট ট প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজাজুড়ে আবর্জনার স্তূপ
ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানের পর গাজাজুড়ে আবর্জনার স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আবর্জনা সংগ্রহের মতো সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য গত মাসে যুদ্ধবিরতির পর থেকে আংশিকভাবে এই পরিষেবা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। তবে ধ্বংসের বিশালতার কারণে পুরো এলাকা পরিচ্ছন্ন করা এখন বহু দূরের ব্যাপার।
মাহমুদ আবু রেইদা খান ইউনিসে তার স্ত্রী এবং চার সন্তানের সাথে যে তাঁবুতে থাকেন তার পাশের ডাস্টবিনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমি কোনো তাজা বাতাসের গন্ধ পাচ্ছি না। আমার তাঁবুতে দুর্গন্ধ পাচ্ছি। আমি ঘুমাতে পারছি না। আমার বাচ্চারা সকালে কাশি দিয়ে ঘুম থেকে ওঠে।”
পচা আবর্জনা, পয়ঃনিষ্কাশন পুল, বোমা হামলার স্থান থেকে আসা বিপজ্জনক বর্জ্য এবং পোড়া কাপড় ও প্লাস্টিকের বিষাক্ত ধোঁয়া গাজাবাসীদের জন্য একটি নোংরা পরিবেশ তৈরি করেছে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির গাজা অফিসের প্রধান আলেসান্দ্রো ম্রাকিক বলেন, “গাজার বর্জ্য সমস্যার মাত্রা বিশাল।”
তিনি জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই বর্জ্য ল্যান্ডফিল সাইটগুলো পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং ইসরায়েল সীমান্তে তিনটি প্রধান ডাম্প সাইট অবস্থিত ছিল যেখানে এখন ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার নেই।
ম্রাকিক বলেন, “আমরা গাজাজুড়ে ২০ লাখ টন অপরিশোধিত বর্জ্যের কথা বলছি।”
তিনি জানান, গাজার বেশিরভাগ পানি যেখান থেকে আসে সেই জলাধারের জন্য এবং জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি ‘অনেক’।
অনেক মানুষ গ্যাস্ট্রিক রোগ এবং ত্বকের সমস্যা, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ফুসকুড়ি, ঘা, উকুন এবং খোস-পাঁচড়ার অভিযোগ করছেন এবং ক্ষুদ্র, জনাকীর্ণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ডাক্তাররা বলছেন যে দূষণই এর জন্য দায়ী।
খান ইউনিসের কুয়েতি ফিল্ড হাসপাতালের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সামি আবু তাহা বলেন, “তাঁবুতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ত্বকের রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাঁবুগুলো আবর্জনার স্তূপের পাশে অবস্থিত।” এই ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধের অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।
খান ইউনিসের আরেকটি অংশে মাহমুদ হেলস তার সন্তানদের সাথে তার তাঁবুতে বসে ছিলেন - কাছেই একটি পয়ঃনিষ্কাশন জলাধার ছিল।
তিনি বলেন, “আমরা এই ধরনের জায়গা ছাড়া আর কোথাও থাকার জায়গা পাই না। এই জায়গাটি খুবই কঠিন - যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ, আবর্জনার স্তূপ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবের কারণে এটি রোগ এবং মহামারীতে পূর্ণ।”
গাজার বর্জ্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর বেশিরভাগই ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বৃষ্টি হলে মানুষ খোলা ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ