রাজধানীর নিউমার্কেটের জিনাত বুক স্টোর। একসময় বইপ্রেমীদের পছন্দের এ জায়গা এখন আর নেই। সেখানে ঝাঁ–চকচকে মনোহারি দোকান। বইপ্রেমীদের আরেকটি তীর্থস্থান বেইলি রোডে নাটক সরণির সাগর পাবলিশার্স। সেটাও বন্ধ হয়েছে বছর দুই হলো। অমর একুশে বইমেলায়ও বেচাকেনা কমতির দিকে। এমন অনিশ্চয়তায় বই প্রকাশের সংখ্যাও কমিয়ে এনেছে সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশনীগুলো। পাঠকখরার চিত্র পাওয়া যায় বিভিন্ন পাঠাগারেও।
বই পড়া ও প্রকাশের হালহকিকত নিয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সৃজনশীল ১০টি প্রকাশনীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভিন্ন বয়সের ৩৫ জন পাঠকের সঙ্গে কথা বলা হয়। পর্যালোচনা করা হয় বইমেলায় গত পাঁচ বছরে বিক্রির হিসাব। তা থেকেই পাঠকের বইবিমুখ হওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে।
প্রযুক্তির কল্যাণে পাঠের বিষয় ও ধরনে পরিবর্তন আসার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকে। আবার অনেকে বলছেন, এখনকার পাঠকেরা ফিকশনের বদলে নন ফিকশনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। সাহিত্যানুরাগীরা বলছেন, পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বই তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও পাঠবিমুখ হচ্ছেন অনেকে। এর ফলে ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে অসংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন অনেকে।
বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
বাংলাদেশের পাঠক কোন ধরনের বই বেশি পছন্দ করেন, বইয়ের বাজারের হালহকিকত কেমন—এসবের একটি ধারণা পাওয়া যায় প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলায় বিক্রির হিসাব থেকে। দেশের প্রায় ৩০০ সৃজনশীল প্রকাশনীর বেশির ভাগ বই প্রকাশিত হয় এ মেলাকে ঘিরে।
যেসব দেশের পাঠকেরা বেশি বই পড়েন—সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় তলানিতে। ২০২৪ সালে সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের ১০২টি দেশের মধ্যে বই পড়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে তিনটির কম বই পড়েন।বাংলা একাডেমির প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম আলোকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ৫৬০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। মেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার। পাঁচ বছর পর, অর্থাৎ ২০২৫ সালের মেলায় অংশ নেয় ৭০৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। বই বিক্রি হয় আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার (বিক্রির পরিমাণ একাডেমির আনুমানিক হিসাব)। অর্থাৎ পাঁচ বছরে বইমেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশনীর সংখ্যা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু টাকার হিসাবে বই বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
ছোট-বড় ১০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা বই প্রকাশের সংখ্যা কমিয়ে এনেছেন। প্রকাশকেরা বলছেন, করোনা মহামারি ছিল বই বিক্রির জন্য বড় ধাক্কা। আবার ধীরে ধীরে বিক্রি যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আসছিল, তখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এখন তাঁরা কম বই প্রকাশ করছেন।
অনুপম প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মিলন কান্তি প্রথম আলোকে বলেন, গত দেড় বছরে তাঁদের বই প্রকাশ ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমাতে হয়েছে। বইকে কেন্দ্র করে পুরো দেশের নেটওয়ার্ক সংকুচিত হয়ে আসছে।
অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁর প্রকাশনীর সৃজনশীল বই বিক্রির হার কমেছে অন্তত ৯০ শতাংশ। তিনি বলেন, মানুষ এখন প্রবন্ধ, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের বই কেনে না। কিছু বই বিক্রি হয়; যেসব গদ্যের বই, ফেসবুকে লিখে জনপ্রিয় হয়েছেন, এমন সব লেখকের বই।
পড়ুয়াদের মতে, বই পড়ার ধরন যে বদলে গেছে, সেটা অস্বীকার করা হচ্ছে। এখন মুঠোফোনেও পাঠক বই পড়েন। বইয়ের বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহ নিয়েও মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটছে, এটা মানতে হবে। কদর বাড়ছে ইংরেজি সাহিত্যেরও।গত দেড় থেকে দুই বছরে আগামী প্রকাশনীর বই বিক্রি কমেছে অন্তত ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে কোনো কোনো বই আছে যার বিক্রি একেবারেই নেই, বলছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি।
বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপংকর দাস জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশের মতো। প্রকৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সৈকত হাবিব বলেন, ‘আসছে বইমেলায় একটি বইও প্রকাশ করতে পারব কি না, সন্দেহ আছে।’
পত্রিকার পাঠক বেশি
যেসব দেশের পাঠকেরা বেশি বই পড়েন—সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের জরিপে বিশ্বের ১০২টি দেশের মধ্যে বই পড়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। ‘কান্ট্রিস দ্যাট রিডস দি মোস্ট বুকস’ নামে প্রকাশিত এ জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বছরে গড়ে ১৭টি বই পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৩টির কম বই পড়েন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি ১০টি পাঠাগারে পাঠকের উপস্থিতির চিত্র থেকেও বই পড়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান খরার চিত্র উঠে এসেছে।
বই পড়তে না চাওয়ার পেছনে আগ্রহ তৈরি না হওয়ার কারণ ব্যক্তি নিজে। পরবর্তী প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারছেন না অভিভাবকেরা।হরিশংকর জলদাস, কথাসাহিত্যিকরাজশাহীর জননী গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আমিনুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাঠাগারে বর্তমানে ৭ হাজার বই আছে। স্থানীয় প্রান্তিক মানুষদের জন্য এ পাঠাগার গড়ে তোলা হয়েছিল। একদিনে সর্বোচ্চ ১৭৫টি বই ইস্যু করার রেকর্ড আছে। কিন্তু এখন দিনে ২৫ থেকে ৩০ জন পাঠক আসেন। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংখ্যা বেশি কমতে শুরু করেছে।
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার সীমান্ত পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ জানান, ১৯৫১ সালে এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। আশির দশকে প্রতিদিন ১৫-২০ জন পাঠক বই পড়তে আসতেন। এখন আসেন ৫-৭ জন।
এ ছাড়া গাইবান্ধা, কুষ্টিয়ার খোকসাসহ বিভিন্ন জায়গায় আরও ৮টি পাঠাগারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঠকের সংখ্যা কমে গেছে। যাঁরাও আসেন, বই ইস্যু করেন কম। অধিকাংশই দৈনিক পত্রিকা পড়েন। এসব পাঠাগারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, বড় সংকট মানুষকে বই পড়ার গুরুত্ব বোঝাতে না পারা।
কী বলছেন লেখক-অভিভাবকেরা
একই কথা বলছেন লেখকেরাও। কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বই পড়তে না চাওয়ার পেছনে আগ্রহ তৈরি না হওয়ার কারণ ব্যক্তি নিজে। পরবর্তী প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারছেন না অভিভাবকেরা।’ তিনি আরও বলেন, সন্তানের কাছে নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার যে গুরুত্ব, সেটাই বুঝতে পারছেন না অভিভাবকেরা। তাই খুদে পাঠক তৈরি না হওয়ার পেছনে পরিবার প্রধানত দায়ী।
বাজারে এখন অনলাইনে বই বিক্রির পেজের রমরমা, যা মূল প্রকাশকদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে। মূল দামের তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাইরেটেড বই কিনতে পারছে পাঠক। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রকাশক।ফিরোজ শেখ, বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা সমিতির পরিচালক।তাঁর এ বক্তব্যের বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার কাছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্যারেন্টস মিটিংয়ে গিয়ে তিনি একজন অভিভাবককে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। সেই অভিভাবক অধ্যক্ষকে অভিযোগ করেছেন, তাঁর সন্তানটি নিজের পাঠ্যবই না পড়ে লাইব্রেরিতে বসে বাইরের বই (সৃজনশীল) বেশি পড়ছে। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন মনোযোগ দিচ্ছে না।
অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, পর্যাপ্ত সৃজনশীল বই তাঁদের হাতের কাছে নেই। এটাও পাঠক কমার আরেকটি কারণ। রাজধানীর কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী ইকরা ও জুনায়েদের মা শিরিন আক্তার বললেন, তাঁর দুই সন্তানের একজন নবম শ্রেণিতে, অন্যজন একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দুজনের কেউই পাঠ্যবইয়ের বাইরে সৃজনশীল বই পড়ার সময় পায় না। তবে হাতের কাছে যদি স্কুলে সৃজনশীল বই থাকত এবং বই পড়ার জন্য আলাদা সময় দেওয়া হতো, তাহলে নিশ্চয়ই ওরা বই পড়ত।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্কুলে বইপড়া কর্মসূচি ও ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার কর্মসূচির সঙ্গে দুই দশক ধরে আছেন উজ্জ্বল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যে প্রতিষ্ঠান বা পরিবারে বই পড়ার অভ্যাস ও সুযোগ আছে, সেখানে বই পড়ে। বাচ্চারা বই পড়তে চায়। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাগার আছে, কিন্তু পাঠাগার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া নেই। শিশুদের বই পড়াতে হলে তাদের হাতে পাঠযোগ্য বই তুলে দিতে হবে।
পাঠকদের অনেকেই ফিকশনের বদলে নন ফিকশন বেশি পড়ছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ র অবস থ ন প রথম আল ক স জনশ ল ব বই ব ক র বইম ল য় বই পড়ত র জন য হওয় র বলছ ন ফ কশন
এছাড়াও পড়ুন:
‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে টেকনিক্যাল এনালাইসিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ’
ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.) বলেছেন, “পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো- নিজেদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এনালাইসিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই এনালাইসিস এর মূল ভিত্তি হলো চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা। প্রাইস মুভমেন্ট, ভলিউম অব ট্রেড সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করা হয়।”
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘বেসিক টেকনিক্যাল এনালাইসিস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র টেনিং একাডেমির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান এবং রিসোর্স পারসন ফিনটেলেক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামনুন বিন জাফর।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কামরুজ্জামান বলেন, “এই মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য শুধু ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসই যথেষ্ট নয়, ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস এর পাশাপাশি টেকনিক্যাল এনালাইসিসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো একে অপরের সাথে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত। টেকনিক্যাল এনালাইসিস একটি সিগন্যাল দেয় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে।”
তিনি আরো বলেন, “পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তই একটি শক্তিশালী ও টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে পারে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগের আহ্বান জানান এবং এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।”
চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় টেকনিক্যাল এনালাইসিস প্লাটফর্ম, টেকনিক্যাল ইনডিকেটরস, জিওমেট্রিক্যাল ডিসপ্লে ইন টেকনিক্যাল এনালাইসিস, ট্রেডিং সিস্টেম, মার্কেট এনালাইসিস, রিস্ক টার্মিনোলজিস এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট-এর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফিনটেলেক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামনুন বিন জাফর, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড-এর সিনিয়র পোর্টফোলিও অন্যালয়িস্ট, ডিস্ক্রিশনারি পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট মুস্তফা জাইন উদ্দিন এবং ইউ সি বি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড এর হেড রিসার্চ এন্ড ডিস্ক্রিশনারি পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট মো. হাসিব রেজা।
ঢাকা/এনটি/এস