যেকোনো খেলায় সর্বকালের সেরা নিয়ে বিতর্কটা অবধারিত। ক্রিকেটে যেহেতু তিনটি সংস্করণ—তাই এই তিন সংস্করণে আলাদা করে সর্বকালের সেরা নিয়ে বিতর্কটা ওঠেই। স্টিভ ওয়াহ তার মধ্যে একটি সংস্করণে বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু এখনই বলে দেওয়া যায়, এই বিতর্ক আসলে শেষ হওয়ার নয়।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ওয়াহর মতে, বিরাট কোহলি সম্ভবত সর্বকালের সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড়। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াহর এই দাবি নিয়ে এখন আলোচনা থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে প্রচুর। কোহলির পক্ষে যেমন যুক্তি থাকবে, তেমনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে আনা হবে আরও কয়েকটি নাম। বলতে পারেন, ক্রিকেটের মজাটাই তো এটা!

গতকাল গোল্ড কোস্টের কারারা ওভালে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮ রানে হারায় ভারত। অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়ানডে সিরিজ ২-১–এ হারলেও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। এই ম্যাচে ভেন্যুতে ছিলেন ওয়াহ। তাঁর মতে, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি এই ভেন্যুতে খেললে দর্শকদের জন্য ব্যাপারটা দারুণ হতো। কিন্তু ভারতের দুই কিংবদন্তি আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। কারারা ওভালে এ পর্যন্ত ছেলেদের তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব কটিই টি-টোয়েন্টি। সেখানকার দর্শক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় তারকাদের খুব বেশি দেখার সুযোগ পান না বলেই সম্ভবত রোহিত ও কোহলির কথা উল্লেখ করেছেন ৬০ বছর বয়সী ওয়াহ।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব তর ক

এছাড়াও পড়ুন:

সত্যি কী নোবেল-মৌয়ের প্রেম ছিল?

নব্বই দশকের জনপ্রিয় মডেল আদিল হোসেন নোবেল ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। দেশের মডেলিংয়ে তাদেরকে কিংবদন্তি বললেও ভুল হবে না! জুটি বেঁধে নাটকেও অভিনয় করেছেন তারা। এ জুটির রসায়ন এতটাই জমেছিল, অধিকাংশ ভক্ত-অনুরাগীরা তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী ভাবতেন।   

কয়েক দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন সাদিয়া ইসলাম মৌ। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক জানতে চান, অনেকে ভেবেছেন আপনি ও নোবেল ভাই স্বামী-স্ত্রী। পরে যখন জানতে পারেন, আসলে আপনারা তা নন। তখন তারা হতাশ হয়েছেন। আপনারা ব্যক্তি জীবনে আলাদা আলাদা হ্যাপি আছেন। কখনো আপনাদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়নি। আসলে কী আপনাদের ভেতরে কোনো প্রেম ছিল না। যদি নাই থাকে তাহলে এমন ম্যাজিক্যাল কেমিস্ট্রি কীভাবে তৈরি হলো? 

আরো পড়ুন:

গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক: তানজিন তিশা

সড়ক দুর্ঘটনায় আলোচিত মডেলের মৃত্যু

জবাবে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, “আমাদের দুজনের মাঝে একটা স্বচ্ছ সম্পর্ক, দুজনের স্বচ্ছ একটি বন্ধুত্ব আছে বলে মনে করি। মিডিয়ার অবস্থান থেকে যদি নোবেলকে নিয়ে বলতে বলেন তবে আমি বলব, ‘নোবেল গুড বয়।’ আমি প্রথম যখন নোবেলর সঙ্গে কাজ করি, তখন দেখেছি নোবেলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে এবং মা-বাবার বাধ্য একটি সন্তান। বাবা-মাকে টেক কেয়ার করার মতো একজন মানুষ।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, “এমনও ঘটনা আছে, পল্লব হোন্ডা নিয়ে এসে বলছে, ‘এই ওঠ, ঘুরে আসি।’ পল্লবের কথা শুনে আমি উঠতে যাব, তখন নোবেল বলেছে, ‘যেও না বন্ধু।’ কেন যাব না তা জানতে চাইলে নোবেল বলে, ‘যেও না।’ কারণ ও জানত, আমরা যাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছি, তারাই এটা নিয়ে গল্প করবে। ও আমাকে সবসময় প্রটেক্ট করেছে।”

কয়েক দিন আগে একটি কাজের জন্য নোবেলকে টেক্সট করি। হুট করে ফোন করি না। কারণ ও ব্যস্ত থাকে। এর মধ্যে আমি যতবার বিদেশে গিয়েছি। যতবার বিমানে উঠেছি, বিমানের স্টাফরা আমাকে দেখেই বলেছেন, ‘আপা নোবেল ভাই আসছিলেন, কয়েক দিন আগে হজে গেলেন।’ আমি বলি, তাই নাকি? নোবেলরও একই অবস্থা। যাহোক, আমি নোবেলকে টেক্সটে লিখেছিলাম—‘বন্ধু, আমি একটু কথা বলতে চাই, ফ্রি হয়ে ফোন দিও।’ নোবেল বলল, ‘আমি ১০ মিনিট পরই তোমাকে কল করছি।’ ঠিক ১০ মিনিট পরই আমাকে কল ব্যাক করে নোবেল।” 

নোবেল-মৌকে এখনো অনেকে স্বামী-স্ত্রী ভাবেন। তারই একটি ঘটনা বর্ণনা করে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, “কাজের কথা শেষ করার পর নোবেল বলল, ‘তোমার কী সময় আছে, আমি একটু গল্প করব।’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, সময় আছে।’ নোবেল জানায়, ওর বাসায় ডিম বা এ জাতীয় অর্গানিক জিনিস একটি প্রতিষ্ঠান থেকে রাখে। হঠাৎ ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এসব জিনিস দিতে দেরি করে। পরে নোবেলের স্ত্রী শম্পা ওখানে ফোন করে। অপর প্রান্ত থেকে জানতে চায়, ‘আপনি কে বলছেন?’ জবাবে নোবেলের স্ত্রী বলেন, ‘আমি আদিল (নোবেল) সাহেবের ওয়াইফ।’ তখন ওই লোক বলেন, ‘ও আচ্ছা, আপনি মৌ আপু বলছেন!’ এ ঘটনা কিছু দিন আগের। পরে নোবেলকে বললাম, ‘নোবেল চলো আমরা জাহিদ (জাহিদ হাসান) আর শম্পাকে বিষ খাইয়ে দিই। ওদের তো বেঁচে থেকে লাভ নাই।’ নোবেলের সঙ্গে আমার এরকম স্বচ্ছ ও সুন্দর একটা সম্পর্ক।”

নোবেল ও মৌ অভিনীত প্রথম নাটকের নাম ‘কুসুম কাঁটা’। ২০০০ সালের দিকে এটি প্রচারিত হয়। মৌ-নোবেল ছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ