সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি হলো রাষ্ট্রের মতো পারিবারিক খরচেরও একটি বাজেট প্রয়োজন। ‘আগে সঞ্চয়, পরে খরচ’ রীতিও বেশ কার্যকর। প্রতি মাসের শুরুতে আপনার মোট আয় কত, তার একটি পরিষ্কার হিসাব তৈরি করুন। এরপর ব্যক্তিগত এবং পরিবারের সব ধরনের খরচের একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করুন। এতে কোনো খরচই বাদ দেবেন না। শেষে পরিকল্পনা সাজানো পালা- এবার তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খরচ মেটানোর পর বাকি টাকা কীভাবে সঞ্চয় করবেন তার পরিকল্পনা করুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করে তা কমানোর চেষ্টা করাসহ আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারেন।
‘আগে সঞ্চয়, পরে খরচ’ নীতি অনুসরণ করুন
বেতন বা আয় পাওয়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখুন।বাকি টাকা দিয়ে মাস চালানোর পরিকল্পনা করুন। জাপানি 'কাকেবো' পদ্ধতি এই নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি।অর্থনীতিবিদদের মতে, আয়ের প্রায় ২০% সঞ্চয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো পড়ুন:
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
নিউ ইয়র্ক-এর ফার্স্ট লেডি ‘রামা দুয়াজি’
অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান
কেনাকাটার সময় প্রয়োজনের কথা ভাবুন, শপিং তালিকা তৈরি করুন এবং শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনুন। বাইরের রেস্তোরাঁয় খাওয়া কমিয়ে দিন। ঘরের তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর এবং সাশ্রয়ী। যেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, জিম মেম্বারশিপ বা অন্যান্য পরিষেবার সাবস্ক্রিপশন আপনি ব্যবহার করেন না, তা বাতিল করুন।প্রতিদিনের সামান্য খরচ, যেমন রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে হেঁটে অফিস বা বাড়ি ফিরলে মাস শেষে একটি বড় অঙ্কের টাকা জমাতে পারবেন।
সঞ্চয় স্বয়ংক্রিয় করুন
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তর (automatic transfer) সেট আপ করুন, যাতে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনার সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে বা ডিপিএস-এ জমা হয়। এটি আপনাকে নিয়মিত সঞ্চয়ে বাধ্য করবে।
আয়ের উৎস বাড়ানোর চেষ্টা করুন
সম্ভব হলে একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করার চেষ্টা করুন। বাড়তি আয় দ্রুত সঞ্চয়ের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
জরুরি তহবিল গঠন করুন
ভবিষ্যতের যেকোনো বিপদ-আপদ বা জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি পৃথক জরুরি তহবিল গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিনিয়োগের কথা ভাবুন
টাকা শুধু সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে ফেলে না রেখে, লাভজনক খাতে বিনিয়োগের কথা চিন্তা করুন। বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্র, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, ইত্যাদি বিনিয়োগের ভালো উপায় হতে পারে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে আপনি সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন। এবং সঞ্চয় বাড়তে থাকবে।
সূত্র: মানি স্মার্ট অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেরাণীগঞ্জে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে তাবলিগ জামাতের পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের মেকাইল গ্রামের একটি মাঠে ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার অনুষ্ঠানিকতা।
প্রথম দিনই ৬৪ জেলার সাথীদের উপস্থিতিতে বিশাল মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়। যে সমস্ত সাথীরা তিন চিল্লায় সময় দিয়েছেন এমন ব্যক্তিরা ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
সাদপন্থিদের মসজিদে প্রবেশ ও আমল নিষিদ্ধ চান জুবায়েরপন্থিরা
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটি ও দিনাজপুরে বিক্ষোভ
ঢাকার কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরুব্বি ও তাবলিগ জামাতের আহলে শূরা সৈয়দ ওয়াসি ফুল ইসলাম জানান, পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় তাবলিগ একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ জামায়েত। এর সফলতার ওপর টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ও আগামী এক বছরের কাজের অগ্রগতি নির্ভর করে।
তিনি জানান, এবার ২০টি দেশের প্রায় ৬০০ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। তারা আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজ করবেন। আমাদের এই ময়দানে ৩ লাখ সাথী এই জোড় ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন।
ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশের একধিক টিম কাজ করছে। বিদেশ থেকে আগত মুসুল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/শিপন/মাসুদ