ভোটের আগে-পরে ১০ দিন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি
Published: 7th, November 2025 GMT
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের আগে ও পরে মোট ১০ দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন-এর সঙ্গে বৈঠক করেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সিইসি আশ্বস্ত করেছেন, সবাই যেন নিরাপদে ভোট দিতে গিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন- সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পলাশ কান্তি দে আরো বলেন, “প্রতি নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হন সংখ্যালঘুরা। অনেক সময় তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তিতে হামলার ঘটনা ঘটে। তাই ভোটের সময় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট বা ভয়ভীতি প্রদর্শন যেন না হয়- সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।”
তিনি জানান, এখনও বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা/এএএম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন ফর্মুলা-ই রেসিং কার আরও শক্তিশালী হচ্ছে
দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নাম ফর্মুলা–ই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিযোগিতাকে ফর্মুলা-ই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বলা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির রেস দেখা যায়। ফর্মুলা–ই এখন পর্যন্ত দ্রুততম ও সবচেয়ে টেকসই রেসিং কার উন্মোচন করেছে। আগামী ২০২৬-২৭ মৌসুমে জেন–৪ নামের এই গাড়িটির অভিষেক ঘটবে। এটি বর্তমানে ফর্মুলা ওয়ানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো গাড়ির চেয়ে দ্রুততর অ্যাক্সিলারেশন বা ত্বরণে চলতে পারে। এই নতুন গাড়িতে বিদ্যমান জেন–৩ ইভো মডেলের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি শক্তি থাকবে। ৩৫০ কিলোওয়াট থেকে ৬০০ কিলোওয়াট শক্তিতে পরিণত হবে গাড়িটি।
নতুন মডেলের গাড়িতে স্থায়ীভাবে সক্রিয় অল-হুইল ড্রাইভ থাকবে। এটি হবে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য গাড়ি। নির্মাণের সময় এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ ভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফর্মুলা–ইর প্রধান নির্বাহী জেফ ডডস বলেন, বৈদ্যুতিক রেসিংয়ে এক দশকের বেশি সময়ের অগ্রগতি, উদ্ভাবন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন এই গাড়ি। পরিচালক সংস্থা এফআইএর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই গাড়িটি আমাদের তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত, চাহিদাপূর্ণ ও টেকসই মেশিন। কর্মক্ষমতা ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন মান তৈরি করবে। বিদ্যমান গাড়িটিই ইতিমধ্যে প্রায় ১.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। যেকোনো ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির চেয়ে প্রায় ৩০ ভাগ দ্রুত ছুটতে পারে এই গাড়ি।
নতুন গাড়িটি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ বছর আগে যখন এই সিরিজ শুরু হয়, তখন সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। ব্যাটারির স্বল্পতার কারণে চালকদের রেসের মাঝখানে গাড়ি পরিবর্তন করতে হতো। ডডস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি নতুন গাড়ির গতি সোজা রাস্তায় ও টেস্ট ট্র্যাকে প্রতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল দেখা যায়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টার ২০০ মাইলের চেয়ে বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে এই গাড়ি ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির সমতুল্য গতিতে ল্যাপ করার বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলার সম্ভাবনা থাকবে।
এফআইএর সিনিয়র সার্কিট স্পোর্ট ডিরেক্টর মারেক নাওয়ারেকি জানান, উচ্চগতির জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। এসব গাড়ির জন্য কিছু ট্র্যাকে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স