চলতি নভেম্বরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। যা গত বছরের নভেম্বরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ওই মাসে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রবাসী আয়ের এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ৫ নভেম্বর ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ৯৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তার মানে চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম দুই খাতের মধ্যে প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকলেও পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি তলানিতে ঠেকেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১ হাজার ৬১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

সামগ্রিকভাবে এখনো প্রবৃদ্ধি থাকলেও গত তিন মাস ধরে রপ্তানি কমছে। গত অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৩৮২ কোটি ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একই সময় দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ

সরকারি তেল কোম্পানি পদ্মা অয়েলের মুনাফা এক বছরের ব্যবধানে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ কোটি টাকায়। তার আগে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৪০৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পদ্মা অয়েলের মুনাফা ১৫৪ কোটি টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

গত বুধবার সরকারি এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কোম্পানিটি। একই সভায় গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে ১৬ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হবে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫৭ কোটি টাকা লভ্যাংশবাবদ বিতরণ করবে। ২৭ নভেম্বর রেকর্ড তারিখে যাঁদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তাঁরা ঘোষিত এই লভ্যাংশ পাবেন।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের পর চলতি বছরই কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর প্রায় ১৬ বছর পর এবার ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিলেও গতকাল ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন পদ্মা অয়েলের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১ টাকা কমে দাঁড়ায় ১৯৪ টাকা ৩০ পয়সায়।

পদ্মা অয়েলের বুধবারের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেরও আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৩৪ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

সরকারি কোম্পানি পদ্মা অয়েল ১৯৭৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির শেয়ারের মালিকানার ৫০ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩১ শতাংশ, ১৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি শেয়ার বিদেশি ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কারণ কী
  • পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ
  • ব্যবসা তিন গুণ, মুনাফায়ও বাটাকে ছাড়িয়ে অ্যাপেক্স