রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে সাথী বড়ুয়া (৩৭) নামে এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের নার্সেস চেঞ্জিং রুম (পোশাক পরিবর্তন কক্ষ) থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সাথী বড়ুয়া রাঙামাটি জেলা শহরের দেবাশীষ নগর এলাকার সুমন বড়ুয়ার স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তানের জননী। তিনি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালেই সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দু-তিনদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সাথী। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার নাইট ডিউটি করার কথা ছিল। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতায় ডিউটি করতে অপরগতা জানিয়ে ছয় দিনের ছুটি নেন তিনি। এরইমধ্যে, ভোররাতে অসুস্থবোধ করলে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সাধারণ বেডে অস্বস্তি বোধ করছেন জানিয়ে হাসপাতালের চেঞ্জিং রুমে আসেন। দুপুরের দিকে হাসপাতালের আরেক নার্স সাধনা চাকমা চেঞ্জিং রুমে প্রবেশের চেষ্টা করলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেকক্ষণ চেষ্টার পরে রুমে প্রবেশ করে সাথী বড়ুয়াকে জানালার সঙ্গে দড়িতে ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.

শওকত আকবর খান বলেন, ‘‘সাথী বড়ুয়া অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছিলেন, পরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুরের দিকে জানতে পারি, তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করছি, তিনি মানসিক চাপে বিপর্যস্ত ছিলেন।’’

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে দুপুরের দিকে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদন গেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

কাঙ্ক্ষিত গ্রেড বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নামছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ব্যানারে শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো-
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান করা এবং
৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

আরো পড়ুন:

ঢাবি প্রক্টরকে হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল

আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি), সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদসহ আরো কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন।

দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তাদের লক্ষ্য কমপক্ষে ২০ হাজার শিক্ষককে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করানো।

এদিকে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ