জকসু নির্বাচন: খসড়া তালিকায় ভোটার ১৬ হাজার
Published: 7th, November 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে ভোটার দেখা যাচ্ছে ১৬ হাজার।
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা জকসুর কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে (https://jnucsu.jnu.ac.bd/voters) প্রকাশ করা হয়েছে।
খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী ৩৯টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে সর্বাধিক ভোটার ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে এবং সর্বনিম্ন ভোটার ভাস্কর্য বিভাগে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বাণিজ্য অনুষদে ৩ হাজার ১৪৫ জন, কলা অনুষদে ৩ হাজার ৩৮ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৩ হাজার ৪১২ জন, বিজ্ঞান অনুষদে ২ হাজার ৩৭৯, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদে ২ হাজার ৭০৯ জন, আইন অনুষদে ৯৯০ জন, চারুকলা অনুষদে ৪৭৬ এবং ২টি ইনস্টিটিউটে ৫৭৬ জনসহ মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭২৫ জন।
বাণিজ্য অনুষদের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৯৭০, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগে ৯৬১ জন, ফিন্যান্স বিভাগে ৬১৬ জন এবং মার্কেটিং বিভাগে ৫৯৮ জন ভোটার।
কলা অনুষদের ভোটারদের মধ্যে বাংলা বিভাগে ৪৭৪ জন, ইংরেজি বিভাগে ৪৯৭ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৪৬৮ জন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৪৩৭ জন, সংগীত বিভাগে ২৩৬ জন, দর্শন বিভাগে ৪৪৩ জন এবং ইতিহাস বিভাগে ৪৮৩ জন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অর্থনীতি বিভাগে ৪২৪ জন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে ১৬৯ জন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৫২৮ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৪৬৯ জন, সমাজকর্ম বিভাগে ৪৬৭ জন, নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৪২৬ জন, লোকপ্রশাসন বিভাগে ৪৬১ জন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৪৬৮ জন ভোটার।
আইন অনুষদের মধ্যে আইন বিভাগে ৫৮৫ জন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৪০৫ জন ভোটার হয়েছেন।
বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগে ৫৫২ জন, সিএসই বিভাগে ৩৪৬ জন, গণিত বিভাগে ৫৩২ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৪২০ জন এবং পরিসংখ্যান বিভাগে ৫২৯ জন ভোটার।
লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের মধ্যে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে ২১৫ জন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ৪৪৩ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৫৩ জন, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে ৪০৮ জন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৪৫৩ জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ৪৯১ জন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ২৮০ জন এবং ফার্মেসি বিভাগে ২৬৬ জন ভোটার।
চারুকলা অনুষদে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে ১১৯ জন, প্রিন্ট মেকিং বিভাগে ১০৪ জন, ভাস্কর্য বিভাগে ৭৫ জন এবং নাট্যকলা বিভাগে ১৭৮ জন ভোটার।
দুটি ইনস্টিটিউটে মোট ভোটার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৩৩৩ জন এবং আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটে ২৪৩ জন। প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে খসড়া ভোটার তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকায় নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সময় ৯ থেকে ১১ নভেম্বর। এরপর আপত্তি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ নভেম্বর।
এদিকে খসড়া ভোটার তালিকায় অনেক বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্রেডিট অপূর্ণ থাকা বা পুনরায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম বাদ পড়েছে বলে জানা গেছে। আবার অধিকাংশ বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরও তাঁদের ভোটার তালিকায় রাখা হয়েছে।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক বিভাগের তথ্যে অসংগতি ও সর্বশেষ তথ্য হালনাগাদ না করায় খসড়া ভোটার তালিকা কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করি, এটা আগামী রোববারের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’
এ ছাড়া কেউ যদি মনে করেন, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম আসেনি বা কোনো কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাহলে সেই যথাযথ নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশন বরাবর আপত্তি জানাতে পারবেন। তা–ও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
কাঙ্ক্ষিত গ্রেড বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নামছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ব্যানারে শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো-
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান করা এবং
৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
আরো পড়ুন:
ঢাবি প্রক্টরকে হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল
আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি), সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদসহ আরো কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। তাদের লক্ষ্য কমপক্ষে ২০ হাজার শিক্ষককে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করানো।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ