বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের তেতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনই বাসের যাত্রী।

মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘‘খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তেতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসচালক ব্রেক করলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়।’’

আরো পড়ুন:

নিজস্ব পরিবহন নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সড়ক বিভাজকে অটোরিকশার ধাক্কা, প্রাণ গেল শিশুর

তিনি আরো বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিলে সেখানে বাসের দুই যাত্রী মারা যান। এছাড়া আহত সাতজন মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহতরা বাস ও মোটরসাইকেলের আরোহী।’’

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

গাজাজুড়ে আবর্জনার স্তূপ

ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানের পর গাজাজুড়ে আবর্জনার স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আবর্জনা সংগ্রহের মতো সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য গত মাসে যুদ্ধবিরতির পর থেকে আংশিকভাবে এই পরিষেবা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। তবে ধ্বংসের বিশালতার কারণে পুরো এলাকা পরিচ্ছন্ন করা এখন বহু দূরের ব্যাপার।

মাহমুদ আবু রেইদা খান ইউনিসে তার স্ত্রী এবং চার সন্তানের সাথে যে তাঁবুতে থাকেন তার পাশের ডাস্টবিনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমি কোনো তাজা বাতাসের গন্ধ পাচ্ছি না। আমার তাঁবুতে দুর্গন্ধ পাচ্ছি। আমি ঘুমাতে পারছি না। আমার বাচ্চারা সকালে কাশি দিয়ে ঘুম থেকে ওঠে।”

পচা আবর্জনা, পয়ঃনিষ্কাশন পুল, বোমা হামলার স্থান থেকে আসা বিপজ্জনক বর্জ্য এবং পোড়া কাপড় ও প্লাস্টিকের বিষাক্ত ধোঁয়া গাজাবাসীদের জন্য একটি নোংরা পরিবেশ তৈরি করেছে।

জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির গাজা অফিসের প্রধান আলেসান্দ্রো ম্রাকিক বলেন, “গাজার বর্জ্য সমস্যার মাত্রা বিশাল।”

তিনি জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই বর্জ্য ল্যান্ডফিল সাইটগুলো পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং ইসরায়েল সীমান্তে তিনটি প্রধান ডাম্প সাইট অবস্থিত ছিল যেখানে এখন ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার নেই।

ম্রাকিক বলেন, “আমরা গাজাজুড়ে ২০ লাখ টন অপরিশোধিত বর্জ্যের কথা বলছি।”

তিনি জানান, গাজার বেশিরভাগ পানি যেখান থেকে আসে সেই জলাধারের জন্য এবং জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি ‘অনেক’।

অনেক মানুষ গ্যাস্ট্রিক রোগ এবং ত্বকের সমস্যা, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ফুসকুড়ি, ঘা, উকুন এবং খোস-পাঁচড়ার অভিযোগ করছেন এবং ক্ষুদ্র, জনাকীর্ণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ডাক্তাররা বলছেন যে দূষণই এর জন্য দায়ী।

খান ইউনিসের কুয়েতি ফিল্ড হাসপাতালের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সামি আবু তাহা বলেন, “তাঁবুতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ত্বকের রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাঁবুগুলো আবর্জনার স্তূপের পাশে অবস্থিত।”  এই ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধের অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।

খান ইউনিসের আরেকটি অংশে মাহমুদ হেলস তার সন্তানদের সাথে তার তাঁবুতে বসে ছিলেন - কাছেই একটি পয়ঃনিষ্কাশন জলাধার ছিল।

তিনি বলেন, “আমরা এই ধরনের জায়গা ছাড়া আর কোথাও থাকার জায়গা পাই না। এই জায়গাটি খুবই কঠিন - যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ, আবর্জনার স্তূপ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবের কারণে এটি রোগ এবং মহামারীতে পূর্ণ।”

গাজার বর্জ্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর বেশিরভাগই ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বৃষ্টি হলে মানুষ খোলা ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ