সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি
Published: 7th, November 2025 GMT
দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে যে অনৈক্য ও বিভেদ দেখা দিয়েছে, তা খুবই হতাশাজনক। এই অনৈক্য ও বিভেদ নির্বাচনকেও একটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা দেখছি সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ প্রকট হয়ে উঠেছে। তাতে পুরো প্রক্রিয়া এখন ঝুলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যদি শাসনতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আমরা কোনো পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে দেশ আবারও এক অন্ধকারে পড়বে। পুরোনো ব্যবস্থা জেঁকে বসবে। অথচ গত বছর তরুণদের নেতৃত্বে যে পরিবর্তন হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশ আশাবাদী হয়েছিলেন। যতই দিন যাচ্ছে, সেই আশা ফিকে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঐকমত্য না হলে দেশে টালমাটাল অবস্থা তৈরি হবে৩ ঘণ্টা আগেসাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, শিক্ষার্থী, তরুণ—বৃদ্ধ সবাই আমরা দেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। জীবনের নিরাপত্তা চাই। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর দেখতে চাই না। কিন্তু সেই আশা কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে এখন আমরা সন্দিহান। এ রকম অনিশ্চয়তা থাকলে কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু করা যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে সেটি হবে জাতির জন্য বড় দুর্দশা ও চরম হতাশার।
এ কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মতো ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হিসেবে আমরাও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। জনগণের ভোটে সত্যিকারের নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে সবাই একটি পথনির্দেশনা পাবেন। তখন যার যার অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। অনিশ্চয়তা থাকলে মানুষ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সবকিছুতে একধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়। আমরা এখন সে রকম একটি পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি।
আরও পড়ুনযেটা ৮ মাসে হয়নি, সেটা ৮ দিনের কম সময়ে কীভাবে হবে৩ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক মতবিরোধের সুযোগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও কিছুটা অবনতি দেখতে পাচ্ছি। এটি জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো কিছুর জন্যই সুখকর নয়। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বলতে পারি, দেশে এখন নতুন বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার মধ্যেই একধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা পূর্ববর্তী এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিএনপির মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে।
১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।
আরও পড়ুনবিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭ ঘণ্টা আগে