বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী, গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
অভিনেত্রী সুলক্ষণার ভাই ললিত পণ্ডিত জানান, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মুম্বাইয়ে এ অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরো পড়ুন:
আমিরের ব্লকবাস্টার সিনেমার প্রস্তাব কেন ফেরান ঐশ্বরিয়া?
বিলাসবহুল দুটো ফ্ল্যাট বেচে দিলেন অমিতাভ
শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে পা রাখেন সুলক্ষণা। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় ‘তকদির’ সিনেমা। এ সিনেমার ‘সাত সমুন্দর পার সে’ গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। হিন্দির পাশাপাশি, বাংলা, মারাঠি, ওড়িশা, গুজরাটিসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন। ১৯৮০ সালে তার গানের অ্যালবাম ‘জজবাত’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। গজল শিল্পী হিসেবেও সুলক্ষণা পরিচিত। সংগীতশিল্পী কিশোর কুমার, হেমন্ত কুমার, মোহাম্মদ রফি, শৈলেন্দ্র সিং, উদিত নারায়ণসহ খ্যাতনামা অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
১৯৭৫ সালে অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে অভিষেক ঘটে সুলক্ষণার। ‘উলঝান’ তার অভিষেক সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন সঞ্জীব কুমার। সাত ও আটের দশকে জনপ্রিয় অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—‘সঙ্কোচ’, ‘হেরাফেরি’, ‘আপনাপন’, ‘খানদান’, ‘চেহরে পে চেহরা’, ‘ধর্ম কান্তা’ প্রভৃতি।
ভারতীয় বাংলা সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন সুলক্ষণা। তা-ও নায়ক হিসেবে পেয়েছেন উত্তম কুমারের মতো তারকাকে। ১৯৭৮ সালে মহানায়কের বিপরীতে অভিনয় করেন। এ সিনেমার নাম ‘বন্দি’। এটি মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে জিতেন্দ্র, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহার বিপরীতে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে হাফ ম্যারাথনে অংশ নিল ১০ বছরের শিশু, ছিলেন ৭৪ বছরের ‘দাদু’
‘আমি নিয়মিত দৌড়াই, এ জন্য সুস্থ্ আছি। দৌড়ালে ওষুধ খেতে হবে না। শরীর-মন সুস্থ রাখার জন্য এটিই প্রাকৃতিক ওষুধ’ বলছিলেন জমির হোসেন (৫৫)। দেশের যে প্রান্তেই ম্যারাথন হয়, জমির হোসেন অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
সুনামগঞ্জে আজ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথনে অংশ নিয়ে ২১ কিলোমিটার দৌড়েছেন জমির হোসেন। তাঁর গ্রুপে (৪৫ বছরের বেশি) পেয়েছেন সেরার পুরস্কার। শুধু জমির হোসেন একা নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাড়ে ৩০০ জন এই ম্যারাথনে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭৪ বছর বয়সী বৃদ্ধও ছিলেন।
‘সুরমা রানার্স সুনামগঞ্জ’–এর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো সুনামগঞ্জ শুক্রবার হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হলো। সকাল ছয়টায় পৌর শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। এতে দুটি ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৫০ রানার (নারী-পুরুষ) অংশ নেন। ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার দুই ভাগে ম্যারাথন হয় সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকেরা ম্যারাথনে অংশ নেওয়া লোকদের জন্য পানি, স্যালাইন, হালকা খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে সেগুলো নিচ্ছেন দৌড়ে অংশ নেওয়া লোকজন। জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত আছে।
দৌড় শেষে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা জমির হোসেন বলছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দৌড়াই। এটা বহুদিন থেকে আমার অভ্যাস। আমি কোনো ওষুধ খাই না। এটিই (দৌড়) আমার ওষুধ।’
রাজবাড়ী থেকে আসা বিশ্বজিৎ রায় জানান, তিনি ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত দৌড়ান। দেশে এবং দেশের বাইরে একাধিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। এবার সুনামগঞ্জ ম্যারাথনে এসে ভালো লেগেছে জানিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। দৌড়ানো চমৎকার ব্যায়াম। দৌড়ালে অসুখ হবে না, ওষুধ খেতে হবে না।’
চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে রাইয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যারাথনে অংশ নেন সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মারুফ আহমদ মান্না। তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। মারুফ বলেন, ‘সুস্থ থাকাটা জরুরি। নিজের শহরে এত চমৎকার একটি আয়োজন হচ্ছে জেনে অংশ নিলাম।’
ঢাকা থেকে আসা ৭৪ বছর বয়সী খবির উদ্দিন খান ছিলেন ম্যারাথনের মূল আকর্ষণ। ম্যারাথনে অংশ নিতে আগের দিন তিনি চলে আসেন সুনামগঞ্জে। তাকে ঘিরে সবার ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। দেশে তো বটেই, দেশের বাইরে অনেক জায়গায় তিনি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। রানারদের কাছে তিনি ‘দাদু’ হিসেবে পরিচিত। সবাইকে জমিয়ে রাখেন। খবির উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিমিত খান, নিয়মিত দৌড়ান, দেখবেন আপনি ভালো থাকবেন। নিজে ভালো থাকা এবং অন্যদের ভালো থাকতে উৎসাহ দিতেই ম্যারাথনে অংশ নিই। সুনামগঞ্জে প্রথম ম্যারাথনেও আমি অংশ নিয়েছিলাম।’
বিজয়ীদের অর্থ, সনদ, মেডেল, ক্রেস্টসহ নানা উপহার দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণের মুক্ত মঞ্চে