নোয়াখালীতে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দিলে তানু নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির মা-মামাসহ আরো তিন যাত্রী।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জেল শহরের উত্তর সোনাপুরের কারামতিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় নিহত ২

কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে নিহত ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা মাইজদীর উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। সোনাপুর-মাইজদী সড়কের উত্তর সোনাপুরে কারামতিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছলে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে শিশু তানু, তার মা-মামাসহ আরো তিন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু তানুকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুধারাম মডেল থানার ওসি মো.

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/সুজন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীকে দেখে স্লোগান দিয়ে নদীতে লাফ

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। ঢাকা থেকে তার বাড়ি ফেরার সংবাদে নদীপাড়ে জড়ো হন অসংখ্য সমর্থক। এ সময় তাকে আসতে দেখে কয়েকজন সমর্থক স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পাড়ে ঘটনাটি ঘটে। 

এ দিন মাহবুবুর রহমান স্পিডবোটে বাড়ি ফিরছিলেন। খবর পেয়ে নদী পাড়ে হাজারো সমর্থক উপস্থিত হন। তাকে বহনকারী স্পিডবোট পাড়ের দিকে এগিয়ে আসার সময় কয়েকজন সমর্থক ‘মাহবুবুর ভাই’ ‘মাহবুবুর ভাই’ স্লোগান দিতে দিতে নদীতে ঝাঁপ দেন এবং তারা সাঁতরে স্পিডবোটের কাছে চলে যান। এ সময় মাহবুবুর রহমান তাদের স্পিডবোটে তুলে নেন এবং সবাইকে নিয়ে জামালগঞ্জ রিভার ভিউয়ের মাঠে পথসভায় যোগ দেন। 

পথসভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কখনো কোনো আন্দোলনে পিছনে ফিরে তাকাইনি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গ্রেনেড হামলায় আমার বাম কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সব  ধরনের সহযোগিতা করেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেও কাজ করেছি।’’

‘‘আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আপনারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমি আপনাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আপনারা অশ্রুসিক্ত নয়নে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি সেই ভালোবাসা নিয়ে আজীবন জনকল্যাণে কাজ করে যাব।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারেক জিয়া আমার নেতা। ধানের শীষ আমার ঠিকানা। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।’’  

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল মালিক, দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বাবায়ক আজাদ হোসেন বাবলু, ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী ব্যাপারী প্রমুখ।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনিসুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন। 

ঢাকা/মনোয়ার// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ