প্রধান শিক্ষককে বের করে দিয়ে কক্ষে তালা, চেয়ার ঝুলছে গাছের মাথায়
Published: 8th, May 2025 GMT
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারাকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে তালা ঝুলিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতার অনুসারীরা। পরে তার চেয়ারটি ঝুলিয়ে রাখেন গাছের মাথায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দৃশ্য দেখা যায় স্কুলটির সামনে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু মনোয়ারা সমকালকে বলেন, ‘সভাপতি করার জন্য মাইনুল ইসলাম, বকুল ও মামুনুর রশীদ নামের তিনজনের নাম ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। পরে জেলা প্রশাসকের সুপারিশে শিক্ষা বোর্ড ৩ মার্চ মামুনুর রশীদকে সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দেয়। এরপর মাইনুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বিদ্যালয় খোলার পর ৬ মে মিটিং ছিল। সেখানে মাইনুল ইসলামের লোকজন এসে আমার ওপর চড়াও হয়। মাইনুলের ভাই জমসেদ আলী ও বাবা আতর আলীসহ কয়েকজন আমাকে টেনেহিঁচড়ে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন। এতে আমি বেশ আঘাতও পেয়েছি। তারা আমাকে লাঞ্ছিত করে আমার চেয়ার প্রথমে ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর স্কুলের সামনের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ এবং তাঁর ব্যবহৃত চেয়ারটি বিদ্যালয়ের সামনের একটি গাছে ঝুলছে। স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা জানিয়েছেন, পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুইটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে গত তিন দিন ধরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে চারটি তালা ঝুলছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাগধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান। তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার পর চলতি বছরের ৩ মার্চ নতুন সভাপতি হন বিএনপির স্থানীয় নেতা মামুন অর রশিদ। তিনি নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন।
অন্যদিকে, স্থানীয় বিএনপি নেতা মাইনুল ইসলাম এই কমিটি মেনে নেননি। তিনি পৌর বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন মোল্লা এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোকবুল হোসেনের ঘনিষ্ঠ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছিল। ওই সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে সভা শুরুর আগেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তখন প্রধান শিক্ষককে কক্ষ থেকে বের করে চারটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর ব্যবহৃত চেয়ার বাইরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তা গাছের মাথায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর বুধবার প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা পবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে নওহাটা পৌরসভার বাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর যুবদলের সদস্য মো.
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাধা দিলে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এরপর কক্ষে তালা লাগিয়ে তাঁরা চলে যান এবং প্রধান শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা বলেন, এটা বিএনপির নিজেদের দ্বন্দ্ব। বিদ্যালয়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তালার কারণে অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। উপবৃত্তি, পরীক্ষার ফাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে আছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন অর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার ছিল কমিটির সভা। আমরা যাওয়ার আগেই ওই ঘটনা ঘটে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি অফিস রুম তালাবদ্ধ।
সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন মোল্লা নজির বলেন, বাগধানীর স্কুলে বাগধানীর বাইরের লোককে সভাপতি বানানো ঠিক হয়নি। আমরা কোনো তালা মারিনি, কোনো ভাঙচুরও করিনি।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, পরিচালনা কমিটির সভায় দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ দ বন দ ব প র ব এনপ ব এনপ র স ব র কর মন য় র
এছাড়াও পড়ুন:
নষ্ট করতে বলার পরও মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছিলেন প্রেমিক, সেই ভুলে ফাঁস স্বামী খুনের রহস্য
মাদকাসক্ত স্বামীর উপর্যুপরি নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন এক নারী। একপর্যায়ে ৩০ পেরোনো এই নারী নিজের স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করান। মরদেহ ফেলা হয় অন্য রাজ্যের এক নর্দমায়। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবনের প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু খুন হওয়া স্বামীর মুঠোফোন এবং প্রেমিকের একটি ভুলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
খুন হওয়া ব্যক্তির নাম প্রিতম প্রকাশ। একাধিক মামলা থাকায় দিল্লি পুলিশের অপরাধ বিভাগ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। এক মামলায় তাঁকে পলাতক অভিযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। পলাতক প্রিতমকে খুঁজতে গিয়ে লোমহর্ষক এক ষড়যন্ত্রের হদিস পায় পুলিশ।
পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে, স্ত্রী সোনিয়া প্রিতমকে হত্যার জন্য ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন, অর্থাৎ টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করেছিলেন। নতুন করে জীবন শুরুর আশায় তিনি প্রিতমকে হত্যা করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর সোনিয়া ও রোহিত পুলিশের কাছে এ কথা বলেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই প্রিতমকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন।
শুরু
জিজ্ঞাসাবাদে ৩৪ বছর বয়সী সোনিয়া পুলিশকে বলেন, ১৬ বছর বয়সে পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে তিনি আট বছরের বড় প্রিতমকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁরা দিল্লির আলিপুর এলাকায় থাকতেন।
পুলিশকে সোনিয়া আরও বলেন, প্রিতম মাদকাসক্ত ছিলেন। একাধিক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখা, ডাকাতি ও অপহরণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অনেকবার চেষ্টা করেও সোনিয়া স্বামীকে মাদক ছাড়ানো বা অপরাধের পথ থেকে ফেরাতে পারেননি। বরং মাদক নিয়েই প্রায় সময় বাড়ি ফিরতেন প্রিতম এবং তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।
২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোহিত নামের এক ক্যাবচালকের সঙ্গে সোনিয়ার পরিচয় হয়। রোহিতও অতীতে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সোনিয়ার নতুন জীবনের পথে স্বামী প্রিতম সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাই নতুন জীবন শুরু করতে প্রিতমকে মেরে ফেলারই সিদ্ধান্ত নেন সোনিয়া।
হত্যার পরিকল্পনা
সোনিয়া পুলিশকে জানান, গত বছরের ২ জুলাই প্রিতমের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। এরপর তিনি দিল্লির পাশের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপতে বোন দীপার বাসায় চলে যান। রোহিতই তাঁকে সেখানে পৌঁছে দেন।
হরিয়ানাতে যাওয়ার পথে রোহিতের কাছে প্রিতমকে হত্যার প্রস্তাব দেন সোনিয়া, যাতে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে পারেন। রোহিতের বিরুদ্ধে আগে থেকেই চারটি ফৌজদারি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল খুনের মামলা। পরে তিনি দিল্লি-সোনিপত রুটে ক্যাব (ভাড়ায়চালিত কার) চালানোর কাজ শুরু করেন।
গাড়িতে করে দিল্লি ছেড়ে যেতে যেতে রোহিত সোনিয়াকে বলেন, তিনি নিজে প্রিতমকে খুন করতে পারবেন না। তবে ছয় লাখ রুপি জোগাড় করতে পারলে একজন ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করা সম্ভব। কিন্তু সোনিয়ার কাছে এত টাকা ছিল না। এর ফলে সেদিন বিষয়টি আর এগোয়নি। রোহিত তাঁকে সোনিপতে বোনের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসেন।
খুন
গত বছরের ৫ জুলাই সোনিয়াকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে সোনিপতে যান প্রিতম। কিন্তু সেখানে তাঁদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। তখন সোনিয়া প্রিতমকে খুন করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি বোন দীপার স্বামীর ভাই বিজয়ের শরণাপন্ন হন। বিজয় বলেন, এক লাখ রুপি দিলে তিনি প্রিতমকে খুন করতে পারবেন। সোনিয়া জানান, তিনি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রুপি দিতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত এই টাকাতেই তাঁদের মধ্যে রফা হয়।
সেদিন সন্ধ্যায় প্রিতম আবারও সোনিয়াকে তাঁর সঙ্গে বাড়িতে ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু সোনিয়া আসতে রাজি হননি। উল্টো প্রিতমকে ওই রাতে বোন দীপার বাসায় থাকতে বলেন। এরপর সোনিয়া বিজয়কে ওই রাতে প্রিতমকে শেষ করে দেওয়ার সংকেত দেন।
রাতে ঘরের নিচতলায় প্রিতম ও বিজয়ের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। সোনিয়া ও অন্যরা চলে যান ছাদে। বিজয় রাতের কোনো এক সময় প্রিতমকে খুন করেন। প্রিতমের মরদেহ সাদা চাদরে মুড়িয়ে অদূরে একটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়।
প্রিতমের মুঠোফোন ঘরে পড়ে ছিল। পেয়ে তা নিজের সঙ্গে রেখে দেন সোনিয়া। নর্দমায় পড়ে থাকা প্রিতমের মরদেহ কয়েক দিন পর মানুষের নজরে আসে। কিন্তু পুলিশ তা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করতে পারেনি। এ অবস্থায় ঘটনাটি ওখানেই ধামাচাপা পড়ে যায়।
কিন্তু নিজের অপরাধ ঢাকতে সোনিয়া দিল্লির আলিপুর থানায় প্রিতমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি লেখেন, তাঁর স্বামী প্রিতমকে ৫ জুলাই থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে প্রিতমের ফোনটি তিনি রোহিতকে দিয়ে সেটি নষ্ট করে ফেলতে বলেন।
পুলিশের রহস্য উন্মোচন
প্রিতমের বিরুদ্ধে যেহেতু একাধিক ফৌজদারি মামলা ছিল, তাই পুলিশ নিয়মিতভাবে তাঁকে খুঁজছিল। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে তথ্য ছিল, প্রিতম কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ। এরপর তারা লক্ষ করে, স্ত্রী সোনিয়া প্রিতমের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারপরও পুলিশের অনুসন্ধানী দল নিখোঁজ প্রিতমের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ কোনো তথ্য পায়নি।
এ পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রিতমের ফোন ট্র্যাক বা ফোনের অবস্থান অনুসরণ করে দেখতে পায়, ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে। সর্বশেষ তা সোনিপত এলাকায় ব্যবহৃত হয়েছে। সোনিয়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও ধ্বংস না করে তখনো প্রিতমের ফোনটি ব্যবহার করে যাচ্ছিলেন রোহিত।
পুলিশ তখন রোহিতের ওপর নজরদারি শুরু করে। এতে করে তাঁর আগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সামনে চলে আসে। অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে রোহিত স্বীকার করেননি। রোহিত বলেন, অচেনা এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ফোনটি কিনেছেন।
কিন্তু পুলিশ রোহিতের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। তখন একপর্যায়ে সোনিয়ার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক, প্রিতমকে খুন করার পরিকল্পনা, সোনিয়ার আত্মীয়কে দেওয়া ‘সুপারি’এবং হত্যার পর প্রিতমের মরদেহ নর্দমায় ফেলা নিয়ে পুলিশকে বিস্তারিত তথ্য দেন রোহিত।
স্ত্রীর স্বীকারোক্তি
রোহিতের পর পুলিশ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে অপরাধ স্বীকার করেন তিনি। প্রিতমকে খুন করার জন্য বিজয়কে টাকা দেওয়ার কথাও তিনি পুলিশকে জানান।
সোনিয়া আরও বলেন, প্রিতমের মরদেহ ফেলে দেওয়ার পর সেটার ভিডিও ক্লিপও বিজয় তাঁকে পাঠিয়েছিল। এসব তথ্য উদ্ঘাটনের পর দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা হরিয়ানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। হরিয়ানার পুলিশ জানায়, নর্দমায় পাওয়া মরদেহটি শনাক্ত করা যায়নি, তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সোনিয়া পুলিশকে বলেন, প্রিতমকে খুন করার পর তিনি বিজয়কে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছেন। এরপর তিনি প্রিতমের একটি গাড়ি ২ লাখ ৮০ হাজার রুপিতে বিক্রি করেন। ওখান থেকে কিছু অর্থ রোহিতকে দিয়েছেন আর কিছু অর্থ নিজে খরচ করেছেন। এই সময়টাতে সোনিয়া রোহিতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, প্রিতমের ফোন ধ্বংস করা হয়েছে কি না? রোহিত মিথ্যা বলেছিলেন। সেই মিথ্যাই তাঁদের জীবনে বড় বিপদ ডেকে আনে।
রোহিত ও সোনিয়া এখন কারাগারে। আগের একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বিজয়ও কারাগারে। পুলিশের তথ্যমতে, সোনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালে এপ্রিল মাসে বিয়ে করেন রোহিত।