জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তাঁর স্বামী মো. মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা নিজের নামে ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাঁর নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৪ টাকা জমা এবং ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৮ টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। এতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

দুদক জানায়, এসব লেনদেন সন্দেহজনক এবং তা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।

একই ধরনের অভিযোগে সৈয়দা রুবিনা আক্তারের স্বামী মো.

মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি নিজের নামে ১ কোটি ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে থাকা তিনটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ১৮৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৪০৪ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে ১৮২ কোটি ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৮ টাকা। এ হিসাবে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এ মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। মো. মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ত্রী রুবিনা আক্তারের সহায়তায় তিনি এসব করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, ফতুল্লায় রিয়াদ চৗধুরীর নির্দেশে আনন্দ মিছিল

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণার পর নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায়  রিয়াদ মোঃ চৌধুরীর নির্দেশনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছে।

রায় ঘোষণার পরপরই ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের নেতৃত্বে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কমীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি ফতুল্লা থানা গেইট হয়ে পোস্ট অফিস বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা বলেন, ‘‘এ রায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ আরও সুগম হলো।’’

আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা  নানা স্লোগানের মধ্য দিয়ে রায়কে স্বাগত জানান। এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।

এ সময় আনন্দ মিছিলে আরো  উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন,যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক জুয়েল আরমান,সাধারন সম্পাদল এস,এম ইব্রাহিম, ফতুল্লা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আমির হোসেন মোল্লা,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আল আমিন,রুপম, হারুনুর রশীদ, যুবদল নেতা মোঃ মিঠু,সৈকত রাজ,রুবেল চৌধুরী, রাহাত চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম মিশু সহ থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ