সাবেক সংসদ সদস্য রুবিনা আক্তার ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের পৃথক মামলা
Published: 13th, May 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তাঁর স্বামী মো. মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা নিজের নামে ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাঁর নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৪ টাকা জমা এবং ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৮ টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। এতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
দুদক জানায়, এসব লেনদেন সন্দেহজনক এবং তা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।
একই ধরনের অভিযোগে সৈয়দা রুবিনা আক্তারের স্বামী মো.
এ মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। মো. মোশারফ হোসাইন সরদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ত্রী রুবিনা আক্তারের সহায়তায় তিনি এসব করেছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জুবাইদা রহমানের আপিল দায়েরের জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। এ জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে তাঁর করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী কায়সার কামাল শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসরণ করে আবেদনটি করা হয়। আইন ও বিধি অনুসরণ করে আপিল করা হবে।’
মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনের ভাষ্য, সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাঁকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৬ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। তিনি তাঁর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। এর মধ্যে ১৭ বছর কেটে গেলেও দেশে ফিরতে পারেননি জুবাইদা রহমান।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন জুবাইদা রহমান। আবেদনটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।