আপত্তির মুখে রোশান-বুবলীর ‘পুলসিরাত’ হয়ে গেল ‘সরদার বাড়ির খেলা’
Published: 14th, May 2025 GMT
নাম বদলে গেল জিয়াউল রোশান ও শবনম বুবলীর সিনেমার। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার আপত্তির মুখে তাদের অভিনীত ‘পুলসিরাত’ সিনেমার নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘সরদার বাড়ির খেলা’। বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির নায়ক জিয়াউল রোশান।
তিনি বলেন, ‘একটা ছেলের জীবনের গতি পরিবর্তনের কিছু ধাপ নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেই ছেলের চরিত্রেই আমি অভিনয় করেছি। শুরুতে এটির নাম ছিল ‘পুলসিরাত’। তবে এখানে ইসলামি তেমন কোনো বিষয় নেই। তাই হয়ত প্রিভিউ কমিটিতে এটা গ্রহণ করেনি।’
পরিচালক রাখাল সবুজ বলেন, সিনেমাটি ২০২২-২৩ অর্থ বছর ‘পুলসিরাত’ নামেই সরকারী অনুদান পেয়েছিল। পরবর্তীতে যখন প্রিভিউ কমিটিতে জমা দেয়া হয়, তখন নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়। এ কারণে নাম পরিবর্তন করে দুই সপ্তাহ আগে সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। পরে ‘সরদার বাড়ির খেলা’ নামে সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে।’
আগামী কোরবানির ঈদে সিনেমা হলে মুক্তি পাবে বলেও জানান নির্মাতা রাখাল সবুজ। তার কথায়, ‘সরদার বাড়ির খেলা’ আগামী কোরবানির ঈদে সিনেমা হলে মুক্তি দেব। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
রোশান-বুবলী ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খান, ইরেশ যাকের প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ য় উল র শ ন সরদ র ব ড় র খ ল প লস র ত
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।