জিয়াউল রোশান ও শবনম বুবলী জুটির নতুন সিনেমা ‘পুলসিরাত’। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার আপত্তির মুখে সিনেমাটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে— ‘সরদার বাড়ির খেলা’। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির নায়ক রোশান। 

সিনেমাটির নাম পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা রোশান বলেন, “একজন ছেলের জীবনের মোড় ঘোরানো কিছু ধাপ নিয়ে সিনেমাটির গল্প। সেই চরিত্রেই আমি অভিনয় করেছি। শুরুতে সিনেমার নাম ছিল ‘পুলসিরাত’, তবে এতে ইসলামি কোনো বিষয় না থাকায় হয়তো প্রিভিউ কমিটিতে তা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।”

পরিচালক রাখাল সবুজ বলেন, “সিনেমাটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘পুলসিরাত’ নামে সরকারি অনুদান পেয়েছিল। কিন্তু প্রিভিউ কমিটিতে জমা দেওয়ার পর নাম পরিবর্তনের পরামর্শ আসে। সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে নতুন নাম ‘সরদার বাড়ির খেলা’ দিয়ে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিই এবং সেন্সর ছাড়পত্র পাই।”

আরো পড়ুন:

উর্দু ভাষায় পাকিস্তানে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের ‘জংলি’

শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না যেন মধু: শবনম বুবলী

আগামী কোরবানির ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্মাতা।

রোশান ও বুবলী ছাড়া সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন— শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খান, ইরেশ যাকের প্রমুখ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ